বিশ্বজিৎ দত্ত : বছরের শেষ দিনে নিজের বিবাহবিচ্ছেদের ইঙ্গিত দেন অভিনেত্রী পরীমণি। অভিনেতা শরিফুল রাজের সঙ্গে পঞ্চম বারের জন্য ঘর বাঁধেন তিনি। বিয়ে হল, ছেলে রাজ্যের আগমন হল সংসারে। কিন্তু এর মাঝেই এমন কী হল যে, রাজের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেন অভিনেত্রী! সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে সে দেশে। এ বার পরীমণির সমব্যথী জনপ্রিয় লেখিকা তসলিমা নাসরিন। বাংলাদেশের একাংশের কাছে তিনিও কম মাথাব্যথার কারণ নন।পরীমণির সঙ্গে নিজের তুলনা টেনে তসলিমা লেখেন, ‘‘পরীমণির জীবনটা অনেকটা আমার জীবনের মতো। মানুষকে ভালোবাসে, বিশ্বাস করে, আঘাত পায়, কাঁদে, সরে আসে, আবার বিশ্বাস করে, আবার আঘাত পায়, আবার কাঁদে, আবার সরে আসে, আবার বিশ্বাস করে । এ যেন একটা চক্রের মতো। সৎ, সরল, এবং সংবেদনশীল মানুষই এই চক্রের মধ্যে পড়ে যায়।’’তসলিমার এই পোস্টে অনেকেই তাকে পরীমনির জীবনের সঙ্গে নিজের জীবনের তুলনা করার সমারোচনা করেন। কিন্তু তসলিমা বলেন, এই মিল মানুষকে বিশ্বাস করার ও সরলতার।
তসলিমা নিজের পোস্টে অভিনেত্রীকে সাহস জুগিয়ে লেখেন, ‘‘পরীমণি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে, ও যদি মাথা উঁচু করে, মেরুদÐ সোজা করে একা বাঁচতে না পারে, তবে আর পারবে কে? আমি পেরেছি। আরও অনেকেই পেরেছে। নিজেকে ভালোবাসলে পারা যায়। আমাদের তো এই দোষ, আমরা নিজেকে ভালোবাসি না। জগতের আর কোনও প্রাণী নয়, এই আমরা মেয়েরাই আমাদের আততায়ীকে ভালোবেসে তার সঙ্গে এক ঘরে, এক ছাদের তলায় বাস করি!’’এর আগেও পরীমণির জীবনে ঘটে যাওয়া একের পর এক অঘটনে তাঁকে খোলাখুলি সমর্থন জানিয়েছেন জনপ্রিয় এই লেখিকা। পরীমণির সাহস তাঁকে মুগ্ধ করেছিল সে সময়ে। এবারও পরীমণির পক্ষে কলম ধরলেন তসলিমা।