মতিনুজ্জামান মিটু : কৃষি ক্ষেত্রের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ভারত বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এগ্রিকালচার ইনফ্রাসট্রাকচার ফান্ড বা কৃষি অবকাঠামো তহবিলের মাধ্যমে ঋণ দিচ্ছে। এসুযোগকে কাজে লাগিয়ে সেখানকার অসংখ্য কৃষক তাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। কৃষি ক্ষেত্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে সেখানকার কৃষকরা ব্যাংক থেকে দুই কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারছেন এবং এই ঋণের নির্ধারিত সুদের তিন শতাংশ অনুদান পাচ্ছেন। ফলে কৃষককে কার্যকরি সুদ দিতে হচ্ছে মাত্র এক শতাংশ। আর্থসামাজিক দিক থেকে ভারতকে চাঙ্গা করতে সবার আগে কৃষি ক্ষেত্রের উন্নতিতে হাত দেওয়া হয়েছে। আগেও একাধিক সুযোগ সুবিধা দিয়েছে সরকার। এছাড়া কৃষকদের মঙ্গলার্থে সেখানে সরকার চালু করেছে ‘কৃষক বন্ধু প্রকল্প’। এপ্রকল্পের আওতায় কৃষকদেরকে দু’দফায় ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। কোন কৃষক বন্ধুর ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে মৃত্যু হলে সরকার তার পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে অর্থ সাহায্য দিচ্ছে। বিভিন্ন মারফতে এখবর পেয়ে বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মু. আব্দুস ছালামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ভারতে যান। এদলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, ডা. হাসান আহমেদ মেহেদি, মো. সাখাওয়াত হোসেন ও সাদনান মনসুর। তারা সরেজমিনে ভারতের এগ্রিকালচার ইনফ্রাসট্রাকচার ফান্ড স্কিম(এআইএফ)‘র অর্থ সহায়তার প্রভাব ও ফলাফল দেখে উৎসাহিত হন এবং ভারতের এগ্রিকালচার ইনফ্রাসট্রাকচার ফান্ড স্কিমের আদলে বাংলাদেশেও পরিবেশবান্ধব (কৃষি, খাদ্য, জ্বালানি, যন্ত্রপাতি প্রভৃতি) শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে উদ্যোক্তাদের ৯০ শতাংশ জামানতবিহীন ঋণ অনুমোদনের আবেদন জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেন্যাবাল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এর পরিচালক মো. রজব আলীর বরাবরে দেওয়া ওই আবেদনটি গত ৩ জানুয়ারিতেই গ্রহণ করা হয়। এদিকে সদয় অবগতি এবং কার্যার্থে আবেদনের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও এফবিসিসিআই এর সভাপতি বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
আবেদনে জানানো হয়, বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফাকচারার্স এসোসিয়েশন(বোপমা)‘র সারা দেশে এক লাখ সদস্য রয়েছে। এসংগঠন ঋনের অর্থের যথাযথ ব্যবহার, আদায় এবং পরিশোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে। এ কার্যক্রম বীমার আওতায় থাকবে। বীমার প্রিমিয়াম বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফাকচারার্স এসোসিয়েশন পরিশোধ করবে। এসম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে সংগঠনের পক্ষে ডা. হাসান আহমেদ মেহেদি বলেন, সংগঠনের ১৭ হাজার প্রশিক্ষিত কৃষক এ ঋণের আবেদন জানাতে পারেন। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড রাখতে হবে এক বছর। গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেন্যাবাল ফাইন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এর পরিচালক মো. রজব আলী বলেন, এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানানো হবে।