সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও চাল ডিম মুরগি আাদা ও রসুনের দাম বেড়েছে
মাসুদ মিয়া : রাজধানীতে শীতের সবজি এখনো ভরপুর থাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে অধিকাংশ শাক সবজির দাম। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সরু চাল আদাও আদা রসুন দাম। একই সঙ্গে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা। আগের সপ্তাহের মতো সবজি বিক্রি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বাজারে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে তিন টাকা বাড়তি দামে। আমন মৌসুমেও বাজারে চালের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। শুধু মোটা চালের দাম সামান্য কমেছিল। তবে কয়েক দিনের ব্যবধানে সরু চালের দাম কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চাল ব্যবসায়ীরা বলেন, আমন মৌসুমের চাল বেশিভাগই মোটা হয়। এজন্য এ সময়ে মোটা চালের দাম না বাড়লেও সরু চালের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। যদিও বাজার স্থিতিশীল রাখতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর পরও বাজারে তেমন কোনো প্রভাব পড়েড়নি। বাজার ও মান ভেদে সরু মিনিকেট চাল ৬৮ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের নাজিরশাইল চালের কেজি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা। অন্যদিকে শীত মৌসুম শেষ না হলেও মৌসুমি সবজির দাম। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ ঘাটতির কথা বললেও কোথাও সেরকম লক্ষ্য করা যায়নি। বরং বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ দেখা গেছে। তবে দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত।
কলতাবাজারের বাজারের সবজি বিক্রেতা সাদ্দাম বলেন, গত সপ্তাহের মতো রয়েছে সবজির দাম। এখনো বাজারে প্রচুর শীতের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। সেজন্য দাম বাড়ে নাই। সবজির বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মুলা ও প্রতি পিস ফুলকপি ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সিমের কেজি ৩০-৪০ টাকা, কাঁচা মরিচের কেজি ১০০ টাকা, বেগুনের কেজি ৩০- ৫০টাকা। বরবটির কেজি ১০০ টাকা, ভালো মানের প্রতি পিস লাউ ৫০-৬০ টাকা। পেঁপের কেজি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা। এছাড়া নতুন আলুর কেজি ৩০ টাকা, আমদানি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি নতুন পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে।
অন্যদিকে অব্যাহত রয়েছে আদা রসুনের মূল্য বৃদ্ধি। এ দুই পদের মসলা কিনতে গুনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি দেড়শ থেকে ২০০ টাকা। বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ডিমের দামে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। কোনো কোনো এলাকায় প্রতি ডজন (১২ পিস) বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। কোথাও আবার ১২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে দোকানিরা সামাজিক ও বিভিন্ন উৎসবকে দায়ী করছেন। চাহিদা বাড়ার কারণে ডিম ও মুরগির দাম কিছুটা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা।সবজির বাজারে স্বস্তির খবর থাকলেও কোনো সুখবর নেই মুদি পণ্যে। কমেনি মসুর ডাল ও আটা-ময়দার দাম। খুচরায় প্রতি কেজি মসুর ডাল এখনো ১৩০-১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আটার দাম ৭০ টাকা ও ময়দা ৭৫ টাকা। সবজির মতো মাছের দামও কিছুটা কমেছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৫০-১৬০ টাকা, রুই ২২০ টাকা ৩৫০টাকা, পাঙাশ ১৪০-১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ১২০-১৬০ টাকা, শিং মাছ আকার ভেদে ৩০০-৪০০ টাকা এবং চিংড়ি মাছ ৫০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশ মাছ কেজি বড় আকাড়ে ১৫০০-১৬০০ টাকা মাঝারি ১০০০- ১২০০ টাকা ছোট ৪০০-৬০০ টাকা।