• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

আমার দেশ

অসময়ে যমুনায় তীব্র ভাঙন, হুমকিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশের সময় : January 20, 2023, 10:20 pm

আপডেট সময় : January 20, 2023 at 10:20 pm

অর্থনীতি ডেস্ক : একদিকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতের প্রকোপ, আরেক দিকে অসময়ে সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে দেখা দিয়েছে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিনানই থেকে চরসলিমাবাদ ভূতের মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার
এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভাঙনের কবলে পড়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদরাসা, বাজার ও ৫০টি বসতবাড়িসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি। এখনো হুমকির মুখে রয়েছে বিনাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সম্ভূদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সম্ভূদিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, পয়লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, চৌবারিয়া বি.এম কলেজ, বাঘুটিয়া কারিগরি স্কুল এ্যান্ড কলেজসহ ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নদী ভাঙন প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী সরকারের দৃষ্টি আর্কষণের জন্য মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও এখনো দেখা মেলেনি স্থায়ী বাঁধের। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে চৌহালী নদী ভাঙনের কবলে থাকলেও সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় গৃহহীন অনেক মানুষই চৌহালী ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। সম্ভুদিয়া এলাকার রহিম শেখ বলেন, এক বিঘা জমিতে বাদাম রোপণ করেছিলাম। ভাঙনে ফসল নষ্ট হয়েছে। হালের খরচও ওঠাতে পারিনি। এতে আমার ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বিনাইন গ্রামের আব্দুল কাদের বলেন, যেভাবে নদীভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে বাড়িঘর রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। মুহূর্তের মধ্যে ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে এ এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে যথাসময়ে ব্যবস্থা নিলে এলাকার মানুষ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করা যেতো।
বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে বিনানই থেকে চরসলিমাবাদ এলাকা পর্যন্ত ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছিল। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে আবারও নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড এখনো কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। তিনি আরও বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরেই রয়েছে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এভাবে আর কয়েকদিন চলতে থাকলে প্রায় ৫ থেকে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। আমি ভঙনের বিষয়টি ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সবাইকে অবগত করেছি।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, চৌহালীর কিছু জায়গায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিন্তু শুকনো মৌসুমের কারণে ভাঙন রোধে এখন কোনো বরাদ্দ না থাকায় আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তবে বর্ষা মৌসুমের আগেই বরাদ্দ পেলে তখন ভাঙন রোধে কাজ করা হবে। তিনি আরও বলেন, নদী ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চিঠির মাধ্যমে অবগত করার পরে সেখানে লোক পাঠিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, চৌহালীতে নদী ভাঙনের কথা শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। আমরা বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা হবে। সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যেই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য নতুন পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে। সূত্র : রাইজিংবিডি

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)