ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে ফেরার পথে ভোগান্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক : টঙ্গীর তুরাগ তীরে দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। মোনাজাতের পরপরই নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরার জন্য মানুষের ঢল নামলে পরিবহন সংকটে ভোগান্তিতে পড়েন তারা।
রোববার ভোর থেকেই মোনাজাতে অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ ইজতেমাস্থলে আসতে শুরু করেন। তখনও গাড়ি না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটেই তুরাগতীরে পৌঁছান। এত মানুষের ভীড়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয় পুরো টঙ্গী এলাকা। ময়দানে স্থান না পাওয়ায় কামারপাড়া সড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পলিথিন, খবরের কাগজ বিছিয়ে দুপুরে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন তারা। অনেকেই আবার মোবাইল ফোনে দূর-দূরান্ত থেকেও মোনাজাতে শরিক হন।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মোহাম্মদ আবু সায়েম জানান, বেলা ১২টা ১৫ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে তা ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। এর পরপরই মোনাজাতের উদ্দেশ্য আসা মুসলমানরা ইজতেমা এলাকা ছাড়ছেন। তবে খিত্তায় অবস্থান নেওয়া তাবলীগের অনুসারীরা পর্যায়ক্রমে ময়দান ছাড়বেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সোমবার পর্যন্ত ময়দানে অবস্থান করবেন।
তিনি আরও জানান, আখেরি মোনাজাতে দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মার সুদৃঢ় ঐক্য, আখেরাত ও দুনিয়ার শান্তি কামনা করা হয়। এসময় দুহাত তুলে আল্লাহ’র দরবারে ফরিয়াদ জানায় লাখ লাখ মানুষ। মোনাজাতের পরপরই নিজ গন্তব্যে ফেরার জন্য রওয়ানা হন এসব মানুষ। ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-পুবাইল, টঙ্গী-বনমালা আঞ্চলিক সড়ক, টঙ্গী-আব্দুল্লাহ্পুর সড়ক ও কামারপাড়া-আশুলিয়া সড়কে জনস্রোতের সৃষ্টি হয়।
কিন্তু ফেরার পথে দুই-একটি পিক আপ ও মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি না পেয়ে আবারও পায়ে হেঁটেই বাড়ির দিকে রওনা হন তারা। ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসা মো. ইয়াকুব আলী জানান, আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবারই ইজতেমা ময়দানে এসেছেন। মোনাজাত শেষে ফেরার পথে পরিবহন সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন তিনি।
আশুলিয়া থেকে আসা সামসুল ইসলাম বলেন, সকালে ইজতেমা ময়দানে আসতে তেমন ঝামেলা হয়নি। বাসেই কামারপাড়া নেমে আখেরি মোনাজাত শেষ করেছি। কিন্তু ফেরার সময় কোনো গাড়ি না পেয়ে পায়ে হেঁটেই রওনা দিয়েছি। এতে কষ্ট হলেও লাখো মুসল্লির সঙ্গে নিজেকে উপস্থাপন করতে পেরে ভাল লাগছে। গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাসিন্দা মো. শাহ জালাল বলেন, লাখো মানুষের সঙ্গে হাঁটতে পেরে ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।