খুলনায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় নতুন প্রকল্প
সোহেল রহমান : জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নতুন প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। জার্মান-এর ‘কেএফডবিøউ ডেভেলপ ব্যাংক’ প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করবে। ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপ্ট আরবার ডেভেলপমেন্ট ফেজ-২’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৪৯১ কোটি ২৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নের পরিমাণ হচ্ছে ১৭৮ কোটি টাকা এবং ‘কেএফডবিøউ ডেভেলপ ব্যাংক’-এর ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৩১২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে খুলনা সিটি কর্পোরেশন।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়সীমা ধরা হয়েছে পাঁচ বছর (চলতি ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত)।
সূত্র মতে, প্রকল্পটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি)-তে বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ‘স্থানীয় সরকার বিভাগ’ অধ্যায়-৭.৪.১-এ ‘স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন, ২০০৯’ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা রয়েছে। ওই আইনের আওতায় নগরবাসীর জন্য নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন; পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে বহুমুখী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। এ বিবেচনায় প্রকল্পের উদ্দেশ্য ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
স্থানীয় সরকার বিভাগ জানায়, প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করে ঝুঁকিগ্রস্ত জনগণের ক্ষতিহ্রাস ও অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্প এলাকায় জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে জলবায়ুর পরিবর্তন জনিত নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত জনসংখ্যার ক্ষতি হ্রাস এবং অভিযোজন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পের আওতায় উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেÑ ৮০০ মিটার সোনাডাঙ্গা বাইপাস রোড উন্নয়ন; ৩ হাজার ৯০০ মিটার ড্রেনেজ সিস্টেম আপগ্রেডিং; ১ হাজার ১৯১ মিটার ড্রেনেজ সিস্টেম আপগ্রেডিং (সোনাডাঙ্গা বাইপাস রোড); ১ হাজার ৯০০ মিটার বাস্তুহারা খাল আপগ্রেডিং; ৯ হাজার ৬৫৪ মিটার ড্রেনেজ সিস্টেম আপগ্রেডিং (বাস্তুহারা খালের সঙ্গে সংযোগ ড্রেনসমূহ); ১ হাজার ৫৫ মিটার দেওয়ানা চৌধুরী খাল আপগ্রেডিং; ২ হাজার ৫০০ বর্গমিটার রূপসা রিভারফ্রন্ট উন্নয়ন; ১ হাজার ৮৬০ মিটার নিরালা খাল আপগ্রেডিং; ২৩টি পুকুর উন্নয়ন; ৭১০ মিটার নদীর তীর বাঁধাই (দৌলতপুর); ৬৫ মিটার মহেশ্বর পাশা শশ্মান ঘাট উন্নয়ন (বাঁধ নির্মাণ); আলুতলা আউটলেট গেট আপগ্রেডিং; লবণচরা পাম্পিং স্টেশন ও আউটলেট গেট নির্মাণ এবং দশমিক ৬৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন।