অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আইএসআইএর তহবিল স্থগিত সরকারি বেতন ১০ শতাংশ হ্রাস করতে যাচ্ছে পাকিস্তান
বিশ্বজিৎ দত্ত : পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তহবিল স্থগীত ও সরকারি কর্মচারিদের বেতন ১০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করেছে পাকিস্তানের জাতীয় কৃচ্ছতা কমিটি। গতকাল এই কমিটি তাদের রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জিওটিভি।
রিপোর্টে বলা হয় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট ও বৈদেশিক মূদ্রার ঘাটতি মোকাবেলায় কোথায় কোথায় কৃচ্ছতা হতে পারে তার একটি কমিটি গঠন করেিেছল সরকার। এই কমিটি কয়েক সপ্তাহ পর্যালোচনার পর তাদের রিপোর্টটি প্রস্তুত করেছে। রিপের্ট বলা হয়েছে অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে আইএসআইসহ পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তহবিল স্থগীত রাখতে হবে। এমনকি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেটও কমাতে হবে। এর বাইরে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বেতন ১০ শতাংশ কমিয়ে দিতে হবে। সরকারের অপ্রয়োজনীয় লোকবল চিহ্ণিত করে তাদের বরখাস্ত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত স্টাফ ও কর্মকর্তা কমাতে হবে। ফেডারেল সরকারের মন্ত্রীর সংখ্যা কমিয়ে ৫ থেকে ৬ জন করতে হবে। কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীদের বাতিল করে দিতে হবে। কেন্দ্রী মন্ত্রীর সংখ্যাও কমাতে হবে। এর বাইরে মন্ত্রীদের অপ্রয়োজনীয় ব্যায় হ্রাস করতে হবে। সারাদেশে বর্তমানে কৃচ্ছতা সাধন করতে বিদ্যুতে রেশনিং, গাড়ি ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
পাকিস্তান বর্তমানে গভীর অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে দেশটি দেওলিয়া হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করছে আইএমএফ। দেশটির বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ প্রায় শূণ্যের কোঠায়। দেশটি এরমধ্যে সৌদি, চীন, আরব আমিরাত ও আইএমএফের কাছে ২৩ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদা ঋণ চেয়েছে। এরমধ্যে চীন ও সৌদি আরব ও আরব আমিরাত মানবিক সহায়তা বাবদ কিছু অর্থ দিলেও সংকট কাটাতে প্রয়োজনীয় অর্থ এখনো দেয়নি। আইএমএফ পাকিস্তানের বিদ্যুৎ, জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও লোকসানি সরকারি সংস্থাগুলোর ভর্তুকি প্রত্যাহারের পরামর্শ দিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর পাকিস্তান বিদ্যুতে ভর্তুকি দিয়েছে ১৬০০ বিলিয়ন রূপি। টাকায় প্রায় ৮০০বিলিয়ন। পাকিস্তানের জাতীয় বিমান পরিবহণ লোকসান দিয়েছে ৬৭ বিলিয়ন রূপি।( টাকায় ৩০ বিলিয়ন)।