অর্থনীতি ডেস্ক : খোলা ও প্যাকটজাত চিনির দাম আবারও বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরএ)। কেজি প্রতি খোলা চিনির মূল্য ৫ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির মূল্য ৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংগঠনটির নির্বাহী সচিব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। নতুন এই দাম ১ ফেব্রæয়ারি থেকে কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপরিশোধিত চিনির আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য বৃদ্ধি এবং ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি ও উৎপাদন ব্যয় বিবেচনায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রতি কেজি খোলা চিনির মূল্য ১০৭ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির মূল্য ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগের গত বছরের ১৭ নভেম্বর খোলা বাজারে কেজি প্রতি চিনির মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১০২ টাকা, আর প্যাকেটজাত চিনির মূল্য ১০৮ নির্ধারণ করা হয়। এই চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন এবং চিনি কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যানকে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে রমজানের আগে বাজারে চিনির দামের লাগাম টেনে ধরতে শুল্ক কমানোর সুপারিশ করে এনবিআরে চিঠি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে চিঠি পেয়ে হিসাব কষছে এনবিআর। তাই ধারণা করা হচ্ছে, শিগগিরই চিনির শুল্ক কমানোর ঘোষণা আসবে।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, চিনির নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহারে জন্য এনবিআরে চিঠি দেয়া হয়েছে। এনবিআর বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। এদিকে গত ১১ ডিসেম্বর আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় আট ধরনের পণ্য যেমন- ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেঁয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুরের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখাসহ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পণ্যগুলো আমদানিতে নগদ মার্জিন হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দেশের চিনির বাজার এখনও অস্থির। বাজারে প্যাকেটজাত চিনি নেই বললেই চলে। এমনকি ডিলার পর্যায়েও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত চিনি। আবার যাও পাওয়া যাচ্ছে, তাও সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। তিন মাস আগে গত বছরের নভেম্বরে খুচরা পর্যায়ে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৭ টাকা এবং খোলা চিনির কেজি ১০২ টাকা। সূত্র : ঢাকাপাস্ট