মতিনুজ্জামান মিটু : অর্জিত হবে সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচির পশ্চাদপদ এলাকার মৎস্যাষের সম্প্রসারণ ও সমৃদ্ধি। মৎস্য সেক্টরের কাংখিত অগ্রগতির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নানা প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এতে মৎস্যখাতে রপ্তানী আয় বাড়ানোর মাধ্যমে পূরণ হবে বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহাবুবুল হক জানান, বর্তমানে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে মৎস্যকাত বিভিন্নভাবে প্রভাবিত ও বিপন্ন। জলবায়ুর ক্ষতির প্রভাবে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে পানি শুকিয়ে আবাসস্থল কমে যাচ্ছে ও সংকটে পড়ছে মাছের বংশবিস্তার। নদী ও সাগরের মাছের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের বেশিরভাগ ভূমিহীন ও হতদরিদ্র। নদী ও সাগরের খুব কাছে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বাস করায় প্রাকুতিক দুর্যোগে এদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মৎস্য প্রজনন ও উৎপাদনে, বিশেষ করে দেশীয় প্রজাতির ক্ষেত্রে।
এদিকে জলবায়ু পরিবর্তনে মৎস্যখাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় এএফও এর অর্থায়নে মৎস্য অধিদপ্তর ‘কমিউনিটি বেসড ক্লাইমেট রেসিলিয়েনট এ্যাকুয়া কালচার ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। মৎস্যসম্পদের কাংকিত ও সহনশীল উন্নয়নে বর্তমান সরকার প্রথম থেকেই বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। সরকারের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসুচির লক্ষ্য অর্জনে পশ্চাদপদ এলাকার মৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে মৎস্যখাতে ৬২৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকার ১২টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন খরচ ৫৪৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। যা মোট বরাদ্দকরা এডিপি’র ৮৬.২৪শতাংশ। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নত মাছচাষ প্রযুক্তি হস্তান্তর, বিল নার্সারি স্থাপন, জলাশয় সংস্কার, অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, জলাভূমির জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ইলিশ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের মজুদ নিরূপন, মেরিকালচার, চিংড়ি চাষি ক্লাসটার স্থাপন,এসপিএফ বাগদা চিংড়ির ব্রæড এবং পিএল উৎপাদন, গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণ, দেশীয় ছোট প্রজাতির মাছসহ পোনা অবমুক্তি, শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন ও বিকল্প কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে মৎস্যচাষি ও মৎস্যজীবীদের জীবনমানের উন্নয়নে উদ্যোগ নেওযা হয়।