ছুটির দিন বাণিজ্য মেলায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
মাসুদ মিয়া: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৭তম আসরের শুক্রবার ২৭তম দিনে মেলায় অনুক‚ল আবহাওয়া পেয়ে ব্যাপক ক্রেতা-দর্শকের সমাগম। রোদমাখা হাসি ছিল ব্যবসায়ীদের মুখে। শুক্রবার সপ্তাহিক ছুটির দিন সকাল থেকে মেলা শুরুর পর থেকেই ক্রেতা-দর্শকরা আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা-দর্শকদের সমাগমও বেড়েছে। বিকেলের পর মেলা মাঠ ভরে ওঠে কানায় কানায়। বলা যায়, তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। মেলায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। ছুটির দিনে সব বয়সী ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। তাই বিক্রেতাদের মুখেও দেখা গেছে সন্তুষ্টির ছাপ। মেলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, বিকাল থেকে লোকসমাগম বেড়েছে। প্রবেশ গেটে কয়েকবার জটলা তৈরি হওয়ায় পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা গিয়ে শৃঙ্খলা রক্ষা করেছে। গত ১ জানুয়ারি থেকে ঢাকার পূর্বাচলের ৪ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) দ্বিতীয়বারের মতো মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার আসর বসেছে। মেলার শুরু থেকে লোকসমাগম একেবারে ছিল না। তার ওপরে শীতের তীব্রতা ছিল। এখন শীত নাই বলে দর্শনার্থী বাড়ছে। সেভয় আইক্রিম গ্যালারির বিক্রয় বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় দর্শণার্থী বেশি। কেউ এসেছেন বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে। কেউবা এসেছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে ছবি তুলে সময় কাটাচ্ছেন। আবার অনেকে পছন্দের পণ্যটি খুঁজছেন এবং কেনা-কাটা করছেন।
মেলা থেকে পাটজাত পণ্য কিনতে এসেছেন রাজধানীর কলতাবাজারের বাসিন্দা বেসরকারি কর্মকর্তা সুমন। ঘর সাজানোর জন্য পাটের তৈরি ফ্লোরমেট, দেয়ালের ওয়ালমেট এবং ব্যাগ কিনেছেন তিনি। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে ও এধরনের হস্তশিল্পের প্রতি ভালবাসা থেকে তিনি এসব পণ্য কেনেন।
এবার মেলায় দেশি-বিদেশি ৩৩১ প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে। এরমধ্যে কয়েকটি প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। গত বছরের চেয়ে এবার ১০৬টি স্টল বেড়েছে। বিদেশি ১০ দেশের ১৭টি স্টল রয়েছে। এবার বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এবার মেলায় খাদ্যপণ্যের মান এবং মূল্যের বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খাদ্যপণ্যের মূল্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। মেলায় যাতায়াতে যাতে কোনও ধরনের নিরাপত্তার ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা আছে। কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করছে। প্রয়োজনে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এসব বাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ টাকা। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। এবার মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। রয়েছে এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।