আমিনুল ইসলাম : গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বর্ধিত বিল শঙ্কায় শিল্প মালিকরা। এমনিতে গ্যাসের ১৫০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির ফলে বৃহৎ, মাঝারি, ক্ষুদ্র শিল্পের উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যয় বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আশংকা রয়েছে। তার পরে জানুয়ারিতে বর্ধিত বিল নেয়া হলে অনেক প্রতিষ্ঠানই বন্ধ হয়ে যাবে।
জানা গেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় গত ১৮ জানুয়ারি গ্যাসের মুল্য প্রায় ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপনের ৫ নং শর্তে বলা হয়েছে এই প্রজ্ঞাপনের অধীন প্রাকৃতিক গ্যাসের ভোক্তা পর্যায়ের গ্যাসের পুননির্ধারিত মূল্যহার বিল মাস ফেব্রæয়ারি থেকে কার্যকর হবে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির এ বর্ধিত বিল ১ ফেব্রæয়ারী থেকে কার্যকরী হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের মিটার রিডিং নেওয়া হয় ২৩ জানুয়ারিতে। এতে ফেব্রæয়ারি মাসে গ্যাসের বিলের সময় জানুয়ারি মাসের ৯ দিনের বিল বর্ধিত মূল্যে নেয়া হবে তারা আশংকা করছেন। এতে করে অনেক প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকার লোকশানের হবে বলে আশঙ্কা করছে। এ অবস্থায় ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের মিটার রিডিং নিয়ে আগের রেটে বিল করার আহŸান জানিয়েছেন বাণিজ্য সংগঠনের নেতারা। এনিয়ে যথাযথ ব্যবসা নেয়ার জন্য তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি, শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং ব্যবসায়িদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতিকে চিঠি দিয়েছে নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল মোমেন মোল্লা।
তিনি বলেন, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বর্ধিত বিল ১ ফেব্রæয়ারি থেকে কার্যকরী হওয়ার কথা থাকলেও ২৩ জানুয়ারি মিটার রিডিং নেওয়া হয় । এতে করে ফেব্রæয়ারি বিলের সময় জানুয়ারী মাসের শেষ ৯ দিনের ব্যবহৃত গ্যাসের বিল করা হবে। এতে জানুয়ারির শেষ ৯ দিনে তার একটি প্রতিষ্ঠানেরই ২৫ লাখ ১৫ হাজার ২৭৫ টাকা বেশি বিল দিতে হবে।
এ অবস্থায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক ১ ফেব্রæয়ারি থেকে বর্ধিত রেটে কার্যকর করে করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রন্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে লোকসান থেকে রক্ষা করার অনুরোধ জানান।