আমিনুল ইসলাম : দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি আর মদ্রাস্ফ্রীতির কারণে বর্তমানে প্রাপ্ত মজুরিতে কোনোভাবেই শ্রমিকেরা সংসার চালাতে পারছে না। এ অবস্থায় গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা ঘোষণা ও পিসরেটসহ সকল শ্রমিকদের একই হারে মজুরি বৃদ্ধি এবং রেশনিংয়ের জন্য দেশব্যাপী প্রতিটি কারখানায় আন্দোলন গড়ে তোলার আহŸান জানিয়েছে শ্রমিক নেতারা। গতকাল শুক্রবার জাতিয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ আহŸান জানান। সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহসভাপতি হাফিজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি আর মদ্রাস্ফ্রীতির কারণে তারা অর্ধাহারে- অনাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সস্তা শ্রমের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা পুঁজিপতি মালিকরা শ্রমিকদের খেয়ে পরে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখন নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত। শ্রমিকদের দুঃখ-কষ্টকে বিবেচনায় নেয়ার সময় তাদের নেই। এজন্য শিল্পমালিকরা জীবনধারণের উপযোগী ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন, জাতিসংঘের পুষ্টিমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের হিসাব এবং বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে শ্রমিকের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করছেন না। বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কারখানায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা জরুরী। কিন্তু তাও করা হচ্ছে না।’ অথচ ‘গার্মেন্টস শ্রমিকেরা অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলছে। শ্রমিকদের বেতনভাতা বৃদ্ধি নিয়ে কোন তালবাহনা করলে দেশব্যাপী প্রতিটি কারখানায় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. রুহুল আমিন, গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়কারী কামরুল আহসান ও আব্দুল ওয়াহেন, ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা এম. এ শাহীন, ইকবাল হোসেন, সাইফুল্লাহ আল মামুন, জয়নাল আবেদিন, জালাল হাওলাদার, কামরুল হাসান, জাহানারা বেগম, মো. মুনসুর আলী, সুমা আক্তার, মো. মহিবুল্লাহ, শহিদুল ইসলাম বক্তব্য দেন।