মাসুদ আলম : গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও নওগাঁয় অভিযান চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ৫ কেজি ৪০০ গ্রাম হেরোইনসহ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। চক্রের মূলহোতা শাকিবুর রহমান (৩৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন শিরিনা (৩৮) ও রাজিয়া খাতুন (৩৩)কে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তবর্তী এলাকা হয়ে নদী পথে প্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ কেজি হেরোইন নিয়ে আসতো চক্রটি। আর চক্রের নারী সদস্যদের মাধ্যমে সেসব হেরোইন পৌঁছানো হতো দেশের বিভিন্ন এলাকায়। নির্ধারিত ব্যক্তিদের কাছে প্রতিনিয়ত ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম করে মাদক সরবরাহ করতো চক্রটি। প্রতিটি চালান পরিবহনের জন্য বহনকারীকে দেওয়া হতো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। মাদকের চালান বেশি থাকলে মূলহোতা শাকিবুর নিজেই মোটরসাইকেলযোগে পৌঁছে দিতেন। হেরোইন বিক্রির টাকা লেনদেন করা হতো সাধারণত মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, শাকিব আগে চুরির সঙ্গে জড়িত থাকলেও প্রায় দুই বছর ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। শাকিব সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে হেরোইন সংগ্রহ করে প্রথমে নিজের বাড়িতে সংরক্ষণ করতেন। পরে চাহিদা অনুযায়ী বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করতেন।
তিনি আরও বলেন, সেলিনা খাতুন শাকিবের স্ত্রী ও স্বামীর মাদক ব্যবসার সহযোগী। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আনা হেরোইনের চালান প্রথমে শাকিব নিজ বাড়ি নওগাঁয় তার স্ত্রীর কাছে রাখতেন। বিভিন্ন সময় আস্থাভাজন মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের বাড়িতে হেরোইন সংগ্রহ করতে গেলে সেলিনা তাদের হেরোইন সরবরাহ করতেন।
মঈন বলেন, রাজিয়া শাকিবের হেরোইন চক্রের অন্যতম সহযোগী হিসেবে প্রায় এক বছর ধরে কাজ করে আসছেন। তিনি রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হেরোইন সরবরাহ করতেন। এছাড়া কয়েকবার শাকিবের সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে বিভিন্ন স্থানে হোরোইন সরবরাহ করেছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার শাকিবের সঙ্গে গাজীপুর ও সাভারের বিভিন্ন স্থানে হেরোইন সরবরাহের জন্য নওগাঁ থেকে রওনা হন। পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। শাকিবের চক্রে ১০ থেকে ১২ জন নারী সদস্য রয়েছে।