মতিনুজ্জামান মিটু : রাশিয়ায় এবছরই আলু রপ্তানি ফের শুরু হবে। দীর্ঘ ১০ বছর বন্ধ থাকার পর সেদেশে আলু রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়া আম, ফুলকপি এবং বাঁধাকপিও নিতে চায় দেশটি। রোববার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি’র সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আলু রপ্তানিতে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে এদেশ থেকে অনেক আলু রপ্তানি হতো। স¤প্রতি রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় আবার আলু রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য আলুতে ব্রাউনরট রোগের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানিতে রাশিয়া নিষেধাজ্ঞা দেয়।
আলুকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সরকার অনেকগুলো পদক্ষেপ নেওয়ায় ২০২২ সালের মার্চে রাশিয়া এনিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ভি. মান্টিটস্কি বলেন, বাংলাদেশের আম ও ফুলকপি অত্যন্ত সুস্বাদু ও উন্নত মানের। রাশিয়াতে এগুলো রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আম ও ফুলকপি দ্রæত রাশিয়ায় নিতে চাই।
সাক্ষাৎকালে রাশিয়া থেকে ডিএপি ও পটাশিয়াম সার আনতে সমঝোতা স্মারক’ (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোচনা হয়। কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া থেকে আমরা পটাশিয়াম আমদানি করে থাকি। এব্যাপারে দুদেশের মধ্যে একটি এমওইউ বিদ্যমান রয়েছে, এটিকে নবায়ন করা হবে। একইসঙ্গে, রাশিয়া থেকে আমরা ডিএপি সার আনতে চাই। এ বষয়েও একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অচিরেই স্বাক্ষর হবে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এসম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়বে।
নির্বাচনে ভোটাররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, ভোটাররা নির্বাচনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন নি। উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হবে, এটিই স্বাভাবিক। জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এখনও ভোটারের ব্যাপক আগ্রহ ও উপস্থিতি রয়েছে। উন্নত দেশে যেখানে শতকরা ৪০ ভাগের মতো ভোট কাস্ট হয়, সেখানে এদেশে শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ ভোট কাস্ট হয়। আগামী সাধারণ নির্বাচনেও ভোটারের ব্যাপক উপস্থিতি থাকবে।
আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোটাররা আছেন কি না, তা যাচাই করতে বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহŸান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি জোট আগামী নির্বাচনে আসুক, তাহলেই বুঝতে পারবে ভোটাররা আওয়ামী লীগের পক্ষে আছে কি না।