বিশ্বজিৎ দত্ত : হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আদানিদের শেয়ারে ধস নেমেছিল। হু হু করে কমছিল শেয়ারের দাম। এই পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। একটি ব্যাংকিং গোষ্ঠীর কাছ থেকে নেওয়া ঋণ সময়ের আগেই শোধ করার সিদ্ধান্ত নিলেন আদানিরা। ঋণের পরিমাণ ৫০ কোটি ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অন্যদিকে আদানি নিয়ে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে ‘ষড়যন্ত্র’ হয়েছে! তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে আদানি গোষ্ঠি।
আমেরিকার লগ্নি সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আদানিদের শেয়ারে ধস নেমেছিল। হু হু করে কমছিল শেয়ারের দাম। এই পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে আদানি গোষ্ঠী। সেই চেষ্টার সুফল ইতিমধ্যেই পেতে শুরু করেছে তারা। গত তিন দিনে অনেকটাই বেড়েছে তাদের শেয়ারের দাম।
আর তাই এই বড় অঙ্কের ঋণ সময়ের আগেই পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বার্কলেস পিএলসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড পিএলসি, ডয়েশ ব্যাংক এজি-র মতো গোষ্ঠী গত বছর প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা আদানিদের ঋণ হিসাবে দিয়েছিল। সেই ঋণের একটি অংশ আগামী মার্চ মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করার চুক্তি হয়েছিল। মার্চ পর্যন্ত আর অপেক্ষা করলেন না আদানিরা। সময়ের আগেই ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ তাঁরা পরিশোধ করার পরিকল্পনা করেছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকিং গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিন্ডেনবার্গ তাদের রিপোর্টে অভিযোগ করেছিল, কারচুপি করে ধনী হয়েছেন আদানিরা।
শেয়ার বাজারে তাঁদের শেয়ারের দর কৃত্রিম। এ ভাবে লগ্নিকারীদের সঙ্গে তাঁরা প্রতারণা করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। যদিও আমেরিকান সংস্থার যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে শিল্পগোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় তৃতীয় থেকে নেমে এসেছিলেন ১৭ নম্বরে। এই বিপর্যয়ের পর শেয়ার বাজারে প্রত্যাবর্তনকে জোরালো করতে এ বার ৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ শোধের সিদ্ধান্ত নিল আদানি গোষ্ঠী।