মো. আখতারুজ্জামান : ভ‚মিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে তুরস্কের আদিয়ামান শহরে পৌঁছেছে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্যে বাংলাদেশের উদ্ধারকারী দল। উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে ৩২টি দেশ। এদের সঙ্গে রয়েছে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, চিকিৎসক ও উদ্ধারকর্মী।
এটিএন বাংলার সিনিয়র সাংবাদিক কেরামত উল্লাহ বিপ্লব তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, আদানা এয়ারপোর্টে নেমে বাসে আদিয়ামান শহরে অবস্থান করছি। ভয়াল ভ‚মিকম্প তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ১০ প্রদেশের অন্যতম আদিয়ামান।
বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় দেয়া ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, একটু আগে খবর এলো- সীমান্তের এই শহরগুলোতে পাওয়া লাশের সংখ্যা এখন প্রায় ২২ হাজার। আরও কতো মানুষ ধংসস্তুপের নিচে আছে তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। ১ কোটি মানুষ তাদের সব হারিয়েছে। এদের অনেকে এই মাইনাস ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে আগুন জালিয়ে অপেক্ষা করছে ভেঙেপড়া বাডির সামনে। অনেক বেচে থাকা পরিবার সদস্যদের নিয়ে থাকছে গাড়ির মধ্যে। তাদের ধারনা নিশ্চয় চাপাপড়া ভবনের মধ্যে কেউ না কেউ এখনো বেচে আছে। ভ‚মিকম্পের ৪ দিন পরও কোথাও কোথাও জীবিত উদধারও হচ্ছেন কেউ কেউ। কি আশ্চর্য মিরাকল। এমন মিরাকলের অপেক্ষা করছে হাজারো মানুষ।
এর আগে, বুধবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) জানায়, তুরস্ক সরকারের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তত্ত¡াবধানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৪ জন ক্রু-সহ সর্বমোট ৬১ জনের একটি দল প্রয়োজনীয় সংখ্যক তাঁবু, কম্বল ও ওষুধসহ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০-জে পরিবহন বিমানে করে তুরস্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। সহায়তা প্রদান শেষে সি-১৩০-জে পরিবহন বিমানটি ১৬ ফ্রেব্রæয়ারি বাংলাদেশে ফেরার কথা রয়েছে।