উৎপাদন বাড়াতে শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে হবে : সালমান এফ রহমান
মো. আখতারুজ্জামান : প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিযোগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পর আমাদের সরকার এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করছে। আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আছি। আমাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে হবে। সরকার রপ্তানিমুখী শিল্প নীতি ও আটামোবাইল শিল্পের প্রসারেও সব ধরনের সহায়তা করবে।
শনিবার ময়মনসিংহের ভালুকায় রানার অটোমোবাইলস পিএলসি’র ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা প্রাঙ্গণে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সালমান এফ রহমান বলেন, দেশে এখন বাজাজ তাদের রোবটিক টেকনোলজি ব্যবহার করছে। আগামীতে রানার বাংলাদেশে ইলেক্টিক থ্রি হুইলারের কাজ করবে। দেশে ২৪ লাখ থ্রি হুইলারের রেজিস্ট্রেশন নেই। আমি এটা জেনে অবাক হয়েছি। শিগগিরই আমি এটা নিয়ে যোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এক্সপোর্টের জন্য আমাদের নীতি সহায়তা বাড়ানো। লাইন ইঞ্জিনিয়ারদের এগিয়ে আসতে হবে। এইচএসবি তাদের জরিপে বলেছে আগামীতে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের নবম বৃহৎ মার্কেট । তাই ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজগুলো কাজে লাগাতে হবে। এলপিজি ও সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার গাড়ি উৎপাদন শুরু করেছে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক থ্রি-হুইলার ব্র্যান্ডের ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানার পথচলা শুরু হলো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে রানার অটোমোবাইলস পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সুবীর চৌধুরী বলেন, রানার অটোমোবাইলস পিএলসি দেশের মোটরসাইকেল শিল্পে প্রথম উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজ থ্রি-হুইলার শিল্পে পা রাখলাম। আশা করছি, মোটরসাইকেলের মতো এই শিল্পেও আমরা সাফল্য অর্জন করব।
রানার গ্রæপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, আজ বড় আনন্দের দিন। দেশে প্রথম থ্রি-হুইলার ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানার যাত্রা শুরু করলাম। এই স্বপ্নযাত্রাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ সহযোগিতা করেছে। তাদেরকে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ একর জমিতে গড়ে তোলা রানারের ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার গাড়ি উৎপাদন করতে সক্ষম। বাজাজ অটোর প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় ইঞ্জিনের কিছু উপাদান ছাড়াও ওয়েল্ডিং, চেসিস, বডি ও কোয়ালিটি কন্ট্রোলসহ অধিকাংশ যন্ত্রাংশ স্থানীয়ভাবে তৈরি হবে। এ কারখানায় ৩০০ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। রানার বাজাজ থ্রি-হুইলার হবে দেশের মানুষের জন্য যাত্রাপথে যোগাযোগের অন্যতম বাহন। রানার এ দেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে শিল্প বিকাশে দেশের অর্থনীতিতে ভ‚মিকা রাখতে পেরে গর্বিত।