এস.ইসলাম জয় : বৈঠকে বাংলাদেশ এবং ওয়েস্ট বেঙ্গলের মধ্যে স্টার্টআপ ইকো-সিস্টেম গড়ে তুলতে স্টার্টআপ অথবা ইয়ং এন্টারপ্রেনিয়র সামিট এবং স্টার্টআপ হ্যাকাথন আয়োজন করার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়।
গতকাল রোববার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বেঙ্গল চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট সুবীর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আগ্রহ প্রকাশ করে।
বৈঠকে তারা থ্রিডি, এআই এবং অন্যান্য ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনসহ’ উদীয়মান প্রযুক্তিতে ‘সহযোগিতার সুযোগ সৃষ্টির বিষয়ে আলোচনা করেন। বেঙ্গল চেম্বারের নেতৃবৃন্দ বলেন আইসিটি হচ্ছে নলেজ বেইজড ইন্ডাস্ট্রি। তাই যৌথভাবে কাজ করলে সুদূরপ্রসারী সুফল পাওয়া যাবে। নেতৃবৃন্দ স্টার্টআপ, এগ্রিটেক, সাইবার সিকিউরিটি, হেলথ ডেলিভারি সিস্টেম, আইটি ইনোভেশন সেন্টারসহ ডিজিটাইজেশনে যৌথ-সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন ভারত এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির মধ্যে স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ, বিটুবি ম্যাচমেকিং এবং নলেজ শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ভবিষ্যতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই।
তিনি ইমার্জিং টেকনোলজি বিশেষ করে মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), রোবটিক্স এবং সাইবার সিকিউরিটি এ চারটি এরিয়াতে যৌথভাবে কাজ করতে বেঙ্গল চেম্বারের প্রতিনিধি দলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন আমাদের দেশে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে দু’দেশের শিক্ষাঙ্গন ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে ভারতের বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহŸান জানান। তারা দু’দেশের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ট ও সৌহার্দপূর্ণ হবে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
এসময় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, বেঙ্গল চেম্বারের নির্বাহী পরিচালক গৌতম রায়, মহাপরিচালক সুবোধিপ ঘোষ, সহকারী মহাপরিচালক অঙ্গনা গুহ রায়, সিফাই টেকনোলজিস লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নীহার চক্রবর্তীসহ প্রতিনিধি দলের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।