
ধনীদের আকৃষ্ট করতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র
রাশিদ রিয়াজ : কোভিড-১৯ মহামারীর আগে আমেরিকা এখন বিশ্বের ধনীদের আবাসস্থলের মতো লোভনীয় নয়, লন্ডন-ভিত্তিক অভিবাসন পরামর্শদাতা হেনলি অ্যান্ড পার্টনার্সের একটি সদ্য প্রকাশিত ওয়েলথ রিপোর্টে দেখা গেছে প্রাক-মহামারী স্তরের তুলনায় গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ ধনীদের গমন ৮০ শতাংশেরও বেশি কমেছে।
এই সংখ্যা ২০২২ সালে মাত্র ১ হাজার ৫০০ মিলিয়নেয়ারে নেমে এসেছে, যা ২০১৩ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ১০ হাজার ৮০০-এ দাঁড়িয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র অভিবাসী মিলিয়নেয়ারদের মধ্যে তার জৌলুস হারাচ্ছে। আমেরিকান ড্রিম এখন লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে সদ্য উচ্চ ধনীর দেশগুলোর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কোটিপতিদের আগমন অব্যাহত রয়েছে। যদিও পূর্বে বিনিয়োগ মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের জন্য বেশিরভাগ আবেদনকারী ছিল উন্নয়নশীল দেশগুলোর যাদের দুর্বল পাসপোর্ট ছিল, সীমিত ভিসা-মুক্ত অ্যাক্সেস এবং কম অর্থনৈতিক গতিশীলতা ছিল।
বর্তমান নতুন ধনীদের বেশিরভাগই এখন উন্নত দেশগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বব্যাপী অবাধে চলাফেরা করার ক্ষমতার কারণে ধনীরা অর্থনীতির স্বাস্থ্যের জন্য একটি সহায়ক ভ‚মিকা রাখেন। ২০১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি যারা গিয়েছেন যাদের সম্পদের পরিমাণ ১ মিলিয়ন বা তারও বেশি ছিল। ২০২২ সালে দেশটি এই রেটিংয়ে শুধুমাত্র ষষ্ঠতম স্থান দখল করে, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, কানাডা এবং সুইজারল্যান্ডের পিছনে পড়ে।
নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথের গবেষণা প্রধান অ্যান্ড্রæ অ্যামোইলস বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে লোকেরা এখনও আসছে, কিন্তু যারা চলে যাচ্ছে তাদের মধ্যে একটি বড় বৃদ্ধি হয়েছে। প্রচুর সংখ্যক ধনী আমেরিকানরা বিদেশে চলে যাচ্ছেন। তারা অভ‚তপূর্ব হারে বিদেশে সবুজ চারণভ‚মির সন্ধান করছেন। কেউ কেউ ট্যাক্স বা নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগের কারণে চলে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ছোট শহরগুলো ধনী বাসিন্দাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে, যখন শিকাগো এবং নিউ ইয়র্কের মতো মেগাপলিসগুলো কোটিপতিদের বিশাল আগ্রহের মুখে পড়েছে। এই প্রবণতা সত্তে¡ও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রয়ে গেছে ৬৫ ট্রিলিয়ন মূল্যের বৃহত্তম সম্পদের বাজার, যেখানে ৭৭০ জন বিলিয়নেয়ার, ৯ হাজার ৬৩০ জন লোকের কাছে রয়েছে ১০০ মিলিয়ন বা তারচেয়ে বেশি অর্থ এবং ৫.৩ মিলিয়ন উচ্চ-নিট- সম্পদ রয়েছে এমন মূল্যবান ব্যক্তি। এর পরেই রয়েছে চীনের ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমান ২১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার।
