আসাদুজ্জামান সম্রাট : বাংলাদেশে ৩১ বছরেও এইডস আক্রান্ত অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এতে আক্রান্তরা অজান্তেই পরিবারের প্রিয়জনসহ সুস্থ মানুষকে আক্রান্ত করছে। তবে এসব সমস্যা সমাধানে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নতুন ৫টি আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসা কেন্দ্র অনেক কম বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বেসরকারি গবেষণা বলছে, শিরায় মাদক গ্রহণকারী, নারী যৌন কর্মী, সমকামী ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইডস সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। এদের মধ্যে ঢাকায় অবস্থানরত শিরায় মাদক গ্রহণকারীদের অবস্থান শীর্ষে। এর পরেই রয়েছে দেশে ফেরা প্রবাসী জনশক্তি। এইডস আক্রান্ত এক রোগী বলেন, ‘আমার তো এই রোগ ছিল না। আমি মেলামেশা করলাম, তারপর থেকেই এই রোগ হয়ে গেছে।’
জাতিসংঘের গবেষণা অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে সম্ভাব্য এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ১৩হাজার ২’শ। বিগত ৮৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৮৬ জনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের দ্রুত শনাক্ত করা না গেলে তারা ধীরে ধীরে সুস্থ জনগোষ্ঠীকে আক্রান্ত করার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
এইডস রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সৈয়দ আহসান তৌহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সব চিকিৎসককেই এই ব্যাপারে ট্রেনিংয়ের আওতায় আনতে হবে। যাতে তারা সম্ভাব্য রোগীদের শনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় আনতে পারে।’
ইতিমধ্যেই দেশের ২৩টি জেলাকে এইডস ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে সরকার। এসব জেলাকে প্রাধান্য দিয়ে আক্রান্তদের দ্রুত শনাক্ত ও চিকিৎসার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
চলতি বছর নতুন করে ৮৬৫জন শনাক্ত হলেও এখন পর্যন্ত এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর শিকার হয়েছে ৯২৪ জন। তবে চিকিৎসরা বলছেন, দ্রুত শনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় আনা গেলে এদের অধিকাংশকেই সুস্থ জীবনে ফেরানো সম্ভব।
জেলা গুলো হলো, ঢাকা, বরিশাল, পটুয়খালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা , চাঁদপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, সিলেট ও মৌলভীবাজার।