অর্থনৈতিক সংকটে পদত্যাগ করতে পারেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ!
রাশিদুল ইসলাম : খাতায় কলমে ঘোষণা করা না হলেও পাকিস্তান সরকার কার্যত দেউলিয়া। সরকারি কোষাগারে বিদেশি মুদ্রার সঙ্কট এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আর দিন চার-পাঁচ সরকারি পরিষেবা চলতে পারে। টাকার টানাটানিতে বন্ধ হতে শুরু করেছে একের পর এক দেশ থেকে আমদানি। অনেক দেশে দূতাবাস বন্ধ করে ক‚টনীতিকদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। থমকে যাওয়ার মুখে সরকারি বাস, ট্রেন, বিমান পরিষেবা। খবর- দি ওয়াল
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহাবাজ শরিফ পদত্যাগ করতে পারেন বলে পাক মিডিয়ার খবর। একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমের খবর শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তরে আগ্রহী শাহবাজ।
স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তানে কোনও নির্বাচিত সরকারই পাঁচ বছর টেকেনি। তার উপর অর্ধেক সময় ক্ষমতায় থেকেছে সেনা। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভাবা হয়েছিল সরকার পূর্ণ মেয়াদ টিকে যাবে। কিন্তু তাকেও সরে যেতে হয়েছে। ইমরান জাতীয় সংসদের অন্তবর্তী নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলেও বাকি দলগুলি রাজি নয়। কারণ, নির্বাচনের খরচ সামাল দেওয়ার মতো অর্থ সরকারের হাতে নেই। ভোট অর্থসঙ্কটকে আরও তীব্র করে তুলবে বলে মত বেশিরভাগের।
এই অবস্থায় তিনটি বিকল্প সরকারের প্রস্তাব নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এক. সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় সরকার। দুই. কোনও অর্থনীতিবিদকে মাথায় বসিয়ে অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও বিশিষ্টজনকে নিয়ে তত্ত¡াবধায়ক সরকার। তিন. সামরিক শাসন।
লক্ষণীয়, এই পর্যায়ে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত দেশের চলতি পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেনি। কিন্তু আন্তর্জাতিক অর্থভাÐার থেকে কড়া শর্তে ঋণ নেওয়ার পর দেশে রাজস্ব আদায়ে সরকার পেট্রল, ডিজেল-সহ নিত্যপণ্যের দাম বিপুল হারে বাড়ানোর পর দেশে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। বেড়েছে রাহাজানির ঘটনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা শাসনের দিকেই ঝুঁকছে দেশ, মনে করছে সে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।