গবেষণার আধুনিকীকায়নে আগামীতে ধানের জাতে ফলন বাড়বে
মতিনুজ্জামান মিটু: বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) আর্থিক এবং ইরি’র কারিগরী সহায়তায় এগ্রি নেটওয়ার্কস ট্রায়ালের মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধানের জাত উদ্ভাবন প্রক্রিয়ার সময় ৫ থেকে ৭ বছর কমিয়ে আনা হচ্ছে। এতে আগে যেখানে একটি জাত উদ্ভাবনে ১০ থেকে ১৫বছর লেগে যেত এখন তা ৮ থেকে ১০বছরে করা যাবে। শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) বাংলাদেশের দু’দিনের ‘এগ্রি (এক্সিলারেটেড জেনেটিক গেইন ইন রাইস) নেটওয়ার্কস ট্রায়াল ২০২৩ এর বার্ষিক অগ্রগতি সভার উদ্ভোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের(ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গবেষণা কার্যক্রমের আধুনিকীকরণের মাধ্যমে আগামী দিনের ধানের জাতে জেনেটিক গেইন (ফলন) অনেকাংশে বাড়বে। এর মাধ্যমে ভৌগলিক স্থান, বাজার ও কৃষকের চাহিদা মাফিক ধানের জাত উদ্ভাবনে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করা সম্ভব হবে।
ইরি বাংলাদেশ এর কান্ট্রি রিপ্রেসেন্টেটিভ ড. হোমনাথ ভান্ডারী’র সভাপতিত্বে এসভার উদ্ভোধনী সেশনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)’র মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হয়ে আসেন ইরি ফিলিপাইনের বিজ্ঞানি ড. সংকল্প ভোসালে। স্বাগত এবং কর্মশালার এজেন্ডা বিষয়ে বক্তব্য দেন, ইরি বাংলাদেশের সিনিয়র রাইস বিডার এবং এগ্রি নেটওয়ার্কস প্রকল্প প্রধান ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশে ইরি-ব্রিসহ অন্যান্য কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এগ্রি নেটওয়ার্কস ট্রায়ালের গত এক বছরের হালনাগাদ তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।
বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) এর অর্থায়নে ইরি ও ব্রি’র বাস্তবায়নাধীন এপ্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে ধানের জাত উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ পরিস্থিতিতে উন্নতজাতের ধান গবেষণার জন্য এগ্রি নেটওয়ার্কস ট্রায়ালের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে মোট ১১ টি প্রবন্ধ কর্মশালায় উপস্থাপন করা হয়। সভায় ইরি, ব্রি, বিনা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কৃষিবিজ্ঞানীরা ও গণমাধ্যমকর্মীসহ শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিনা’র মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এমন অভিনব উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনের এখনই উপযুক্ত সময়। ব্রি বিনাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ধান উৎপাদন বাড়ানো এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষকদের সহায়তা করছে ইরি । এগ্রি নেটওয়ার্কস প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে ধানের জেনেটিক গেইন বাড়ানো সম্ভব হবে। এরপর পৃষ্ঠা ৭, সারি ৩