
বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের উদ্দেশ্য সফল : জসিম উদ্দিন

আমিনুল ইসলাম : বাংলাদেশ বিজনেস সামিট সফল। বিশ^ আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের সক্ষমতা জানান দেয়াই ছিল বিজনেস সামিট আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। সে উদ্দেশ্য আমরা সফল হয়েছি। প্রথমবারের মতো রেজিস্ট্রেশন করে ৮৫০ জন মানুষ এ সামিটে অংশ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে ৩শত জন বিদেশি। বিদেশী ব্যবসায়িরা বাংলাদেশের ব্যবসা বিনিয়োগ পরিবেশ জানতেই এদেশে এসেছেন। সামিটে ৩টি প্লানারি শেসন ও ১৪টি প্যারালাল শেসনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেল সুযোগ, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছে। সামিটে তাদের বলেছি অমরা ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমিক জার্নিতে যাত্রা শুরু করেছি। আপনারা এ যাত্রায় আমাদের সাথে যোগ দিন। কারণ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিনিয়োগের শ্রেষ্ঠ স্থান হচ্ছে বাংলাদেশ। এখানে সাশ্রয়ী ও নিরাপদ শ্রম পরিবেশ আছে। ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক জোন প্রস্তুত হচ্ছে। এছাড়া ১৭ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশ। বিশে^র ৯ বৃহত্তম ভোক্তার দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। গতকাল বিকালে বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের অর্জন নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি এমএ মোমেন, হাবিবুল্লাহ ডন, আমিন হেলালী, সালাউদ্দিন আলমগীর এবং বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা ড. এম. মাশরুর রিয়াজ।
জসিম উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, আমরা সামিটে সবাইকে এক করার চেষ্টা করেছি । সেখোনে আমরা সফল হয়েছি। বাংলাদেশে এসএমই শিল্প বিকাশের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সামিটে প্রায় ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির সিইও এবং প্রতিনিধিরা এসেছেন। তারা জানিয়েছেন ম্যানুফেকচারিং খাতে এখন বিভিন্ন দেশে রিলোকেশন হচ্ছে। এ রিলোকেশনের গন্তব্য দেশগুলো হচ্ছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম এবং বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত বিনিয়োগ সাশ্রয়ী ও লেবার ইনসেন্টিভ দেশ হওয়াতে এখানে বিনিয়োগ সম্ভাবনা বেশি। সামিটে অংশগ্রহণকারীরা বিষয়গুলো জেনেছেন। তারা এখন বুঝে শুনে তাদের বিনিয়োগ গন্তব্য ঠিক করবেন। আমরা মনে করি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ আকর্ষণে এ সামিট আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
এছাড়া সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড.মজিদ বিন আবদুল্লা আলকুস্সাইবির নেতৃত্বে ৪৫ সদস্যের টিম সামিটে অংশগ্রহণ করেছে। তারা আমাদের জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের বন্দর অপারেশন, চিনি শিল্পের বহুমূখীকরণ, পরিবহণ, খুলনায় একটি সার কারখানা স্থাপন এবং গ্রীণ এনার্জিতে বিনিয়োগের আগ্রহী। এছাড়া পেট্টক্যামিক্যাল খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তারা। এটিই আমাদের বড় সাফল্য।
