স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এডিবি’র গুরুত্বপূণর্ ভূমিকা পালনে অর্থমন্ত্রীর আশাবাদ
সোহেল রহমান : সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া-এর সঙ্গে বৈঠককালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও এডিবি’র অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে এডিবি’র প্রেসিডেন্ট বর্তমানে ঢাকা সফরে রয়েছেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী ১৯৭৩ সাল থেকে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় উন্নয়ন অংশীদারদের অন্যতম হিসাবে এডিবি’র ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ এডিবি’র অর্থায়নের তৃতীয় বৃহত্তম প্রাপক হয়ে উঠেছে। গত ৫০ বছরে এডিবি বাংলাদেশের জন্য ২ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে। এই প্রতিশ্রæতির বিপরীতে, আজ অবধি বাংলাদেশ ২ হাজার ১১০ কোটি ডলার পেয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৬৫০ কোটি ডলার মূল ঋণ পরিশোধ করেছে। বর্তমানে এডিবি’র কাছে বাংলাদেশের বকেয়া ঋণ ১ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার; যা সরকারের মোট বৈদেশিক ঋণের প্রায় ২৪ শতাংশ।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সক্ষমতার বিষয়ে এডিবি’র প্রেসিডেন্ট-কে অবহিত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ‘গেøাবাল রোল মডেল’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬৩০ কোটি ডলার। এরপর ২০০৯ সালে ১০ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে আমাদের প্রায় ৩৮ বছর সময় লেগেছে। আর এখন আমাদের জিডিপি ৪৬ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে; বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে। এই হিসাবে, আমরা আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে ‘শীর্ষ ২০ অর্থনীতির’ দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। আমাদের এখন লক্ষ্য ‘রূপকল্প ২০৪১’ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। আগামী বছরগুলোতে আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে এডিবি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এডিবি’র প্রেসিডেন্টমি মাসাতসুগু আসাকাওয়া বাংলাদেশর অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সক্ষমতার প্রসংশা করে বলেন, করোনা মহামারি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে এডিবি শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের পাশে সবসময় এডিবি থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।