কাতারের দোহায় আলোচনার কেন্দ্রে বাংলাদেশের ‘উন্নয়ন মডেল’
[১] ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক
চেয়ারম্যান, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট
কোভিডের কারণে ১০ বছরের পরিবর্তে ১২ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো। ফলে আমরা কী কী বেনিফিট পাবোÑ এ বিষয়ের দলিল আগে থেকেই ঠিক ছিলো। সাধারণত দেশগুলো এই প্রোগ্রামে এসে আলাপ-আলোচনা করে একপ্রকার দরকষাকষির মাধ্যমে একটি লিস্ট তৈরি করে থাকে। কিন্তু এবার এ ধরনের কিছু ছিলো না। এর ফলে সুবিধা হয়েছে। দুই বছর বাড়তি সময় পাবার ফলে এলডিসির যে সমস্যাগুলো তা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাওয়া গিয়েছে।
এবারের কনফারেন্সে বাংলাদেশের ওপর যথেষ্ট গুরুত্বআরোপ করা হয়েছে। যেমন, [১] অন্য এলডিসি সদস্যদের বলা হয়েছে, বাংলাদেশ তাদের জন্য রোল মডেল হতে পারে। কারণ আমরা এতো দ্রæত সময়ের মাঝে এলডিসি গ্রাজুয়েশন হয়েছি, যা আর কেউ এর আগে পারেনি। [২] যারা কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়েছেন, সকলে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সুনাম করেছে। [৩] আমরা যদি ২০২৬ সালে এলডিসি লিস্ট হতে বেরিয়ে যাই, তাহলে আমরা আর পরবর্তী কনফারেন্সে অংশ নিতে পারবো না। সেটি ধরলে এই সম্মেলনটি ছিলো আমাদের সবশেষ সম্মেলন। তাই এটি তাৎপর্য অনেক আমাদের জন্য। কিন্তু কোভিড থেকে শুরু করে বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল। তাহলে এমন অবস্থাতে এলডিসি হতে এখন বা সামনে গ্রাজুয়েশন হয়ে বের হওয়া দেশগুলোর কী হবে, এই প্রশ্ন থেকেই যায়। তাছাড়া চীন ও আমেরিকার দ্বন্দের কারণে ডøবিটিএ (ডঞঅ) সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে আমরা যে ভবিষ্যতে বিশ্বের মুক্তবাণিজ্যে অংশ নেবো, সেই সুযোগ একেবারেই কম থাকছে। মূলত এই বিষয়গুলো নিয়েই এবারের কনফারেন্সে আলোচনা হয়েছে, তাই বলা যায় এবারে এলডিসি কনফারেন্স আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
[২] নাঈমুল ইসলাম খান
ইমেরিটাস সম্পাদক, আমাদের নতুন সময়
বাংলাদেশের একটু শক্তির পরিচয় হচ্ছেÑড. ইউনূসকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খেলা চিঠিটা বিজ্ঞাপন আকারে ছাপতে হয়েছে। কারণ মেরিট পায়নি যে এটা এডিটরিয়াল কনটেন্ট হবে। আমরা নিজেরাও যখন মিডিয়ায় আলোচনা করি, সবাই ৪০ জন বিশ^ নেতার কথা বলি। এই চল্লিশজনের মধ্যে কতোজন বিশ^নেতা আছেন আর কতোজনকেইবা চেনা যায়? তিন-চার জনের বেশি তো ওইরকমভাবে কাউকে চেনা-জানা নেই। তাদের খুব একটা প্রভাবশালী নন। তবও আমাদের সতর্কতা ও সক্রিয়তার দরকার আছে।
এলডিসি সিক্সে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ থাকবে না। তবে আমি মনে করি, স্বপ্রণোদিত হয়ে বাংলাদেশের সেই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করা অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য। বাংলাদেশের যে একটা ইনস্পাইরিং রোল এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বৈশি^ক ফোরামে একজন অভিজ্ঞ নেতা হিসেবে আবিভর্‚ত হন। উনার পাশাপাশি এ ধরনের কনফারেন্সে আর যারা বিশ^নেতা আসেন, তাদের এতো দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নেই রাষ্ট্রপরিচালনার, যা আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আছে। বিশে^র অনেক নেতার কাছে তিনিই হলেন রেফারেন্স। উনাকে অনুসরণ করা, উনাকে লক্ষ্য রাখা, উনাকে নিয়ে উচ্ছ¡াস, প্রশংসা কারও কারও জন্য বেদনারও।
মাল্টিডাটারাল এই ফোরামে (এলডিসি) প্রধানমন্ত্রীর কী পরিমাণ ব্যস্ততা ছিলো, আমরা যারা ছিলাম তারা লক্ষ্য করেছি। ক্লান্তিহীনভাবে একটা পর একটা এনগেইজমন্ট চলেছে। উনার এই এনগেজমেন্ট বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৈশি^ক পরিসরে খুবই মর্যাদার। কিন্তু বাংলাদেশের মিডিয়ায় তা ওই ভাবে রিফ্লেকটেড হতে দেখি না। এটা কেন হয় না, তা নিয়েও এক্সামিন করা দরকার।
[৩] শ্যামল দত্ত
সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেসক্লাব
বাংলাদেশ এলডিসির লিডার অনেকদিন যাবৎ। কিন্তু আমাদের মিডিয়া এই ব্যাপারটি হাইলাইট করে না, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা যে এলডিসির গ্রাজুয়েশনের দ্বারপ্রান্তে, এ বিষয়েও মিডিয়ার তেমন কোনো ফোকাস নেই। শেখ হাসিনার যে একটা দাপুটে লিডারশিপ, এই ব্যাপারটি অনেকেই মেনে নিতে পারেন না। যার কারণেই দেখা যায়, মিডিয়ায় আমাদের অর্জনগুলো খুব কম হাইলাইটস্ করা হয়। কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জ আমরা মোকাবেলা করে এসেছি। এর মধ্যে করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন-য্দ্ধু রাশিয়া যুদ্ধ অন্যতম। যেখানে ডলার রেট অনেকটা বেড়েছে, জ্বালানির দাম বেড়েছে, ফুড সাপ্লাই নষ্ট হয়েছে। এগুলোর পরও এলডিসি কর্তৃক গ্রোথের যে পরিকল্পনা ছিলো তার থেকেও আমরা ভালো করেছি। এগুলো অনেকে শুনতে চাই না। যে কারণে মিডিয়ায় ব্যাপারটা খুব কম দেখা যায়। এবারের কাতারের সম্মেলনে এতো বেশি বিনিয়োগকারী অংশ নিয়েছে, যা এর আগে কখনো দেখা যায়নি। তারাও বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে অধীর আগ্রহে আছে।
[৪] শামেরান আবেদ
নির্বাহী পরিচালক, ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনাল
একটা বিষয় সত্য যে বাংলাদেশ এলডিসি হতে গ্রাজুয়েট হয়ে বেরিয়ে আসতে যাচ্ছেÑ এটা গর্বের বিষয় আমাদের জন্য। আমি যেহেতু ব্র্যাক আন্তর্জাতিকে কাজ করি, তাই অনেকগুলো এলডিসি দেশে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। ফলে অনেকগুলো দেশের সঙ্গে আমাদের দেশের অবস্থান তুলনা করতে পারি। আমাদের দেশের অবস্থান যে এই লিস্টের সবার উপরে তা একদমই পরিষ্কার। ১৭ কোটি জনগণের ছোট্ট একটা দেশ এতো দ্রæত উঠে এসেছে এই বিষয়টি নিয়ে সারা দুনিয়াতেই প্রশংসা চলে তা নিজ চোখে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। বিশেষ করে এই এলডিসি লিস্টভুক্ত দেশগুলোতে আমাদের প্রশংসা হয়ে থাকে বেশ। ১৯৯৯ থেকে শুরু করে প্রতিবছর আমাদের ৫ শতাংশ করে জিডিপি গ্রোথ হয়েছ্।ে মাতৃমৃত্যু শিশুমৃত্যু থেকেও আমরা খুব অল্পসময়ে অনেকটা বেরিয়ে আসতে পেরেছি। তাছাড়া গড়আয়ু, শিক্ষার হার এসব বিষয়েও আমাদের পরিবর্তন প্রশংসার দাবিদার। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আমাদের প্রগ্রেস অনেক অনেক গুণে বেশি। কিছু বছর আগেও আমরা তাদের থেকে যে সকল বিষয়ে পিছিয়ে ছিলাম, সেসব বিষয়ে এখন আমরা তাদের ছাড়িয়ে গিয়েছি। করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ^ এবং বাংলাদেশেও দারিদ্রের হার কিছুটা বেড়ে গেছে। ব্র্যাক সরকারের সঙ্গে এক হয়ে দারিদ্রবিমোচনে কাজ করে যাচ্ছে।
[৫] মালিহা কাদির
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সহজ ডটকম
এলডিসি সম্মেলনে সব থেকে যে বিষয়টি ভালো লেগেছে, সব দেশের প্রতিনিধিরা ডিজিটাইজেশনের সব জায়গাতে বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে টেনেছিলো। ডিজিটাইজেশন সেক্টরে বাংলাদেশের উন্নয়নকে অনেক দেশের মন্ত্রীরা বারবার অভিনন্দন জানাচ্ছিলো। বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে সরকার যেভাবে প্রযুক্তি পৌছে দিয়েছে, তা আসলেই প্রশংসার দাবিদার। এ বিষয়ে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সরকার কাজ করেছে। সরকার জনগণের জন্য অনেক ডাটা সহজতর করে দিয়েছে। ঘরে বসেই জনগণ ই-সেবা গ্রহণ করতে পারছে। তাছাড়া প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদকে ডিজিটাল তথ্য কেন্দ্র বানানো হয়েছে। যার ফলে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা হয়ে উঠেছে অনেক সহজ ও উন্নত।
[৬] শমসের মবিন চৌধুরী বীর বিক্রম,
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত
কাতারে অনুষ্ঠিত এলডিসির সম্মেলনটি জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত এবং আমাদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু আমাদের দেশের মিডিয়ায় ব্যাপারটি একদমই গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয়নি। এটা আমাদেরই দুর্বলতা। এখানে যে সামরিক চুক্তিটি সাক্ষরিত হয়েছে, তা আমাদের জন্য খুবই গর্বের। প্রাথমিকভাবে ১১০০ জনর অধিক সেনা পাঠানো হবে এবং সর্বমোট প্রায় এগারো হাজার সেনা চুক্তি এটি। এছাড়া জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের কয়েক হাজার সেনা রয়েছে। এসব স্থানে আমি নিজে অনেকবার পরিদর্শন করেছি। নিজ চোখে দেখার সুযোগ হয়েছে সেখানে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রচুর প্রশংসা করা হয়।
জাতিসংঘের এই মিশনে আমাদের দেশের সেনারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে,তারা শান্তি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং সিয়েরা লিওনে বাংলার সেনারা দক্ষতার সঙ্গে কৃষিকাজও করে চলেছে। এরই ফল স্বরূপ কাতার আমাদের সাথে সামরিক চুক্তিটি করেছে। এটি নিঃসন্দেহে আমাদের বড় অর্জন। আমরা এলডিসি হতে গ্রাজুয়েট করতে চলেছি, এটা আনন্দের। তবে আমাদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বিশেষ করে আমাদের ব্যবসায়িকদের সতর্ক থাকতে হবে পরবর্তী চ্যালেঞ্জের জন্য। কারণ সরকার কিছু পরিকল্পনা আর নির্দেশনা দিয়ে থাকে, বাকিটা সকলকে সম্মিলিত কাজের মাধ্যমেই করতে হয়। সিভিল সোসাইটি থেকে শুরু করে সবাইকে ওই অনুযায়ী কাজ করতে হয়। দিনে দিনে বিদেশি বিনিয়োগ আমাদের দেশে বেড়েই চলেছে। কারণ কোরিয়া, জাপান, চীনের মতো দেশ আমাদের দেশে বিনিয়োগ করতে অত্যন্ত ভরসা করে থাকে। দিনে দিনে সারা বিশ্ব থেকেই বিনিয়োগকারী আমাদের দেশে এগিয়ে আসছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনার। তবে শুধু জিডিপি গ্রোথই একটা দেশের ডেভেলপ নয়, এর সঙ্গে আরও অনেক কিছু জড়িত আছে, সেগুলো খেয়াল রাখতে হবে। ডিস্ট্রিবিউটিং সিস্টেম ঠিক চলছে কিনা, ধনী-গরিবের গ্যাপ বেড়ে যাচ্ছে কিনা, শিক্ষার গুণগত মান ঠিক আছে কিনাÑ এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারটি নিয়ে সরকারকে আরো কাজ করতে হবে। তাছাড়া বাকিসব বিষয়ে বাংলাদেশ খুবই অগ্রসর একটি দেশ যা, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একটি রোল মডেল।
[৭] আনীর চৌধুরী
পলিসি অ্যাডভাইজর, এটুআই প্রোগ্রাম
প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা ছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে, তা নিয়ে অনেক হাসাহাসি হয়েছে, কিন্তু তার ফল আমরা এখন পাচ্ছি। যেমন কাতারে এই সম্মেলনে বিশ্ব আমাদের উন্নয়নের প্রশংসা করেছে। সম্মেলনে ‘সায়েন্স টেকনোলজি ইনোভেশন’-এর রোল মডেল হিসেবে সবাই বাংলাদেশকে দেখেছে। বিষয়টি আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। দোহা প্রেগ্রামে যে ছয়টি বিষয়ের উপর বিশেষ ফোকাস করা হয়েছে, তার ভেতর অন্যতম হলো বিজ্ঞান প্রযুক্তি ব্যবহার করে গ্রোথ। এই খাতে আমরা প্রচুর অগ্রসর হয়েছি যা প্রশংসার দাবিদার।
২০০৮ সালে আমরা কোন অবস্থানে ছিলাম আর ২০২৩ সালে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছি এটিই দেখার বিষয়। কারণ আমরা বলতে গেলে একেবারেই শূন্য থেকে উঠে এসেছি। এতো কম সময়ে এমন ডেভেলপমেন্ট বিশ্বে খুব কম দেশই করতে পেরেছে। এসব কারণেই ট্রান্সফরমেশনের লিডার বলা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। এস্তোনিয়া, ভারত, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে এখন আমাদের তুলনা করা হয়। গত দশকে প্রায় দুই হাজার সেবা আমরা ডিজিটাইজ করেছি। ডিজিটাইজেশনের কারণে আমরা সাধারণ মানুষের অনেক সময় বাচিয়েছি এবং লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পেরেছি। এই উন্নয়নগুলো তাক লাগানোর মতো। এই ব্যাপারগুলোই দোহার এবারের সম্মেলনে ফুটে উঠেছে, যার কারণে আমরা অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছি।
[৮] অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান
নির্বাহী পরিচালক, সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনোমিক মডেলিং (সানেম)
বাংলাদেশ ২০২৬ সালেই এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েট হয়ে বেরিয়ে যাবে এবং এটি নিয়ে সেলিব্রেশন করছি আমরা। তবে অনেক দেশই দেখা যায়, গ্রাজুয়েশনের সময় আবার আপিল করে এলডিসিতে আরো কয়েক বছর থাকার জন্য। কিন্তু আমরা সেই জায়গা হতে বেরিয়ে আসতে পেরেছি। এই বিষয়টিও খুবই গর্বের। আমরা খুবই গর্বের সঙ্গেই গ্রাজুয়েট হতে চলেছি। সামনে আমাদের অনেক অনেক সম্ভাবনা রয়েছে, তবে আমাদের এগুলো রিয়েলাইজ করতে হবে। কাজে লাগাতে হবে এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। তবেই আমরা শিখরে পৌছে যাবো অতিদ্রæতই। পলিসির ব্যাপারে আমাদের আরও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে এগুলো আমাদের ভালোভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এছাড়া ডলার এক্সেঞ্জ রেট নিয়ে আমাদের কাজ করার আছে। স্বাস্থ্য এবং সেবা খাতে আমাদের আরও অধিক ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন। এই জায়গাটাতে আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি।
[৯] ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ
সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি
একটা জিনিস লক্ষ করলে দেখা যায়, সাগর পাড়ের সব দেশই ধনী হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ, পাকিস্তান, সোমালিয়া, উত্তর ইয়েমেন, দক্ষিণ ইয়েমেন এই পাঁচ দেশ ব্যতীত। সাগরপাড়ের যে সুবিধা তা আমরা গত ৫০ বছরে কাজে লাগাতে পারিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় এসে এ ধরনের সমস্যার সমাধান হচ্ছে। যেমন আমরা কয়েকবছর আগে শেখ হাসিনার কল্যাণে আমাদের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করেছি। শেখ হাসিনার সরকার গত ১৫ বছর দেশে যে উন্নয়ন করেছে, তা আমরা গত ৫০ বছরেও করতে পারিনি। যার ফল স্বরূপ আমরা সকলের মুখে মুখে প্রশংসা পেয়েছি এবারের কাতার সম্মেলনে। তবে আমাদের কিছু জায়গায় দুর্র্বলতা রয়েছে, এগুলো যতো দ্রæত সমাধান করতে পারবো, ততো দ্রæত এগিয়ে যেতে পারবো সামনের দিকে।