
মধ্য মার্চের পর বৃষ্টি সঙ্গে হতে পারে কালবৈশাখী
মতিনুজ্জামান মিটু : বৃষ্টি ও ঝড়ের ক্ষতি এড়াতে কৃষকেদেরকে সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকাসহ সাত দফা বাস্তবায়নের পরামার্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প।
কাল বৈশাখীর সম্ভাবনা, কৃষকদের জন্য বিশেষ পরামর্শে এপ্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শাহ কামাল খান জানান; আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, আগামী ১৭ থেকে ২২ মার্চ দেশের সব জেলায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় দেশের কোথাও কোথাও কাল বৈশাখী ঝড়ও হতে পারে। এঅবস্থায় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের বাংলাদেশ কৃষি আবহাওয়া তথ্য পোর্টাল (বামিজ) কৃষকদের জন্য বিশেষ কিছু কৃষি আবহাওয়া পরামর্শ দিয়েছে।
পরামর্শ গুলো হলও; সেচ, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিপক্ব ফসল দ্রæত সংগ্রহ করে শুকনো ও নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে। বোরো ধানে ধানে ব্যাকটেরিয়া ললিফবøাইট রোগ দেখা দিতে পারে।
এ রোগ থেকে ফসলকে রক্ষা করার জন্য ঝড় বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর বিঘা প্রতি পাঁচ কেজি পটাশ সার এবং ৩.৫ কেজি জিপসাম প্রয়োগ করতে হবে। তবে ধান গাছ যদি থোড় অবস্থা পার হয়ে থাকে তা লে ১০ লিটার পানিতে ৬০ গ্রাম পটাশ সার, ৬০ গ্রাম থিওভিট এবং ২০ গ্রাম জিংক ভালওভাবে ৫ শতাংশ জমিতে স্প্রে করতে হবে।
ঝড় বৃষ্টির পরপর ইউরিয়া সার দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে। জমিতে যেন পানি জমে থাকতে নাপারে সেজন্য নিষ্কাশন নালা পরিষ্কার রাখতে হবে। বোরো ধানের জমির আইল উঁচু করে দিতে হবে। দন্ডায়মান কলা গাছ, আখ ও উদ্যান তাত্তি¡ক ফসলের জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করতে হবে। বৃষ্টিপাতের পর জো অবস্থা এলে পাট ও সব্জি বীজ বুনতে (বপন) হবে।
