• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

অমৃত কথা

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুতের ট্রান্সমিশন গ্রিড স¤প্রসারণে ১ হাজার ৪৯ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে

প্রকাশের সময় : March 17, 2023, 8:01 pm

আপডেট সময় : March 17, 2023 at 8:01 pm

সোহেল রহমান : দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুতের ট্রান্সমিশন গ্রীড স¤প্রসারণে প্রায় ১ হাজার ৪৯ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)-এর অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির মূল ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২৭৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এটি এখন বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৪ হাজার ৩২২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। একই সঙ্গে প্রকল্পটির বাস্তবায়নকালও দেড় বছর বাড়ছে। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। মূল প্রকল্পে বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। এটি বাড়িয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ‘পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) লিমিটেড’।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চার কারণে প্রকল্পটির ব্যয় বাড়ছে। এগুলো হচ্ছেÑ প্রকল্পের কর্মপরিধি বৃদ্ধি, প্রকল্প এলাকা স¤প্রসারণ, বিভিন্ন অঙ্গের ব্যয় বৃদ্ধি এবং প্রকল্পের মেয়াদ ১ বছর ৬ মাস বৃদ্ধি। জানা যায়, মূল প্রকল্পে সরকারি অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৮৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা; বাস্তবায়নকারী সংস্থার অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩১৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা এবং দাতাসংস্থা এডিবি’র ঋণের প্রতিশ্রæতি ছিল ২ হাজার ২৭৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
প্রকল্প ব্যয় বাড়ায় সরকারি অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১ হাজার ২৭ কোটি ৩ লাখ টাকা (ব্যয় বাড়ছে ৩৪৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা); বাস্তবায়নকারী সংস্থার অর্থায়নের লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৪৭১ কোটি ৩০ লাখ টাকা (ব্যয় বাড়ছে ১৫৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা) এবং দাতাসংস্থা এডিবি’র ঋণের প্রতিশ্রæতি বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২ হাজার ৮২৪ কোটি ২ লাখ টাকা (ঋণ বাড়ছে ৫৪৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা)।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দেশের ১৯টি জেলার ৫০টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছেÑ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর অঞ্চলের মানুষের ক্রমবর্ধমান আবাসিক ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা; বরিশাল অঞ্চলে নির্মিতব্য অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম কৃষি উৎপাদন এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজশাহী এলাকার কৃষি কাজের সুবিধার্থে নির্ভরযোগ্য ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা। প্রকল্পের আওতায় ৩০৮.৬৯৫ কিলোমিটার নতুন সঞ্চালন লাইন নির্মাণ, ৩২৩.৫০ কিলোমিটার রিকন্ডাক্টরিং, চারটি নতুন জিআইএস উপকেন্দ্র নির্মাণ, একটি বিদ্যমান উপকেন্দ্রের ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ এবং ছয়টি বে স¤প্রসারণের কাজ চলমান রয়েছে।
জানা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি)-তে সরকারি অর্থায়ন খাতে মোট ১৮৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য খাতে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র মতে, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় মোট ৩৩৫৮ সার্কিট কিলোমিটার বিদ্যমান বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের ক্ষমতাবর্ধণ এবং উচ্চ বিভবসম্পন্ন (হাই ভোল্টেজ) নতুন বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করতে সঞ্চালন ব্যবস্থায় বিদ্যমান উপকেন্দ্রসমূহের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন অপরিহার্য। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ভারত (আদানি) থেকে আমদানিকৃত বিদ্যুৎ দেশের উত্তর অঞ্চল হয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব হবে। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দক্ষিণ অঞ্চলে নির্মিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহের পাওয়ার ইভাক্যুয়েশনের জন্য এই প্রকল্পের আওতাধীন সঞ্চালন লাইনসমূহ ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাসমূহের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

 

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)