• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

প্রথম পাতা

প্রতি টন রডের দাম লাখ টাকা ছাড়িয়েছে

প্রকাশের সময় : March 17, 2023, 8:46 pm

আপডেট সময় : March 17, 2023 at 8:46 pm

মো.আখতারুজ্জামান : লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ইমারত তৈরি প্রধান উপাদান রডের দাম। কয়েকটি কোম্পানির রডের দাম টনপ্রতি খুচরা পর্যায়ে লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আবার বাকি কোম্পানিগুলোর রডও লাখ টাকা ছুঁই ছুঁই। রড তৈরির কাঁচামাল স্ক্র্যাপের দাম বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাতে দফায় দফায় দাম বাড়িয়েছে দেশের ব্যবসায়ীরা।
নগরীর ষোলশহরের পাইকারি রড বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান আলমার্স ট্রেডিংয়ের মালিক ইমাম হোসেন বলেন, রডের বাজার খুবই অস্থির। প্রতি সপ্তাহে এক-দুইবার করে বাড়ছে দাম।
প্রতিবারই ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা করে বাড়াচ্ছেন কারখানা মালিকরা। গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে রডের বাজারে এমন অস্থিরতা চলছে। বর্তমানে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে টনপ্রতি রড কোম্পানি ভেদে বিক্রি করা হচ্ছে এক লাখ টাকা ৯৭ হাজার টাকায়। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা নিজ খরচে বহন করে নিয়ে যান। সে ক্ষেত্রে প্রতি টনের দাম ৫০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করেন তারা। এ কারণে লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে রডের দাম।
রাউজান পাহাড়তলী চৌমুহনী বাজারের খুচরা রড বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল মদিসা ট্রেডার্সের মালিক জিএম মোস্তফা বলেন, বিএসআরএমের রড টনপ্রতি বিক্রি করা হচ্ছে এক লাখ দুই হাজার টাকা, কেএসআরএমের রড বিক্রি করা হচ্ছে এক লাখ টাকা থেকে এক লাখ এক হাজার টাকা এবং একেএসের রড এক লাখ এক হাজার টাকায়।
জিপিএইচের রড এক লাখ এক হাজার টাকায়। এ ছাড়া বায়েজিদ স্টিলের রড বিক্রি করা হচ্ছে ৯৯ হাজার টাকায়। রডে টনপ্রতি দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমে গেছে।
রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত বলেন, রড উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। দেশি জাহাজ কাটার স্ক্র্যাপ দিয়ে রড উৎপাদন করলেও খরচ এক লাখ ৫ হাজার টাকার মতো পড়ছে। খরচ সমন্বয় করতেই দাম বাড়ানো হয়েছে।
রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম স্টিলের মিডিয়া অ্যাডভাইজার মিজানুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে কেএসআরএমের রড মিল গেটে বিক্রি করা হচ্ছে ৯৭ হাজার টাকা করে। গ্রাহকরা নিজ খরচে পরিবহনে নিয়ে যাবেন। রড তৈরিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কিছুদিন ধরে বিশ্ববাজারে রড তৈরির কাঁচামাল স্ক্র্যাপের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে দেশি স্ক্র্যাপের দামও। এ ছাড়াও ডলার সংকটের কারণে ক্রমাগত বাড়ছে আমদানি ব্যয়। সেই সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে রডের বাজারে।
বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্র জানায়, দেশে স্বয়ংক্রিয় ইস্পাত কারখানা আছে ৩০টি। সনাতন পদ্ধতির কারখানা আছে ১০০টির মতো। বছরে দেশে রডের চাহিদা আছে ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টন। এ হিসাবে মাসে সাড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ টন রড দরকার হয়।
রড তৈরির কাঁচামাল হলো, স্ক্র্যাপ বা পুরনো লোহার টুকরো। এই কাঁচামাল সরাসরি আমদানি করে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করেন উৎপাদকরা। বাকি প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ আসে জাহাজভাঙা শিল্প এবং লোকাল ভাঙাড়ি বর্জ্য থেকে।

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)