পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে বাসের চাকা পাংচার হয়ে নিহত ১৯
রাজু আহম্মেদ খান, শিবচর : পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৬ জনের মরদেহের নাম ঠিকানা সনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে আরো ২ জনের মরদেহ সনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনায় ২০ জনের বেশি গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মাসুদ আলমসহ জেলরে উধ্বর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে নিহতদের সনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহত প্রতিজনকে ৫ হাজার টাকা করে ও নিহতদের পরিবারকে দাফন কাফন বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। নিহতরা হলো- ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার সৈয়দ মুরাদ আলীর ছেলে ইসমাইল (৩৮), গোপালগঞ্জ জেলার গোপিনাথপুরের তৈয়ব আলী মিয়ার ছেলে মো. হেদায়েত মিয়া (৪২), নড়াইল জেলার লোহাগড়ার ফকু শিকদারের ছেলে ফোরহাদ শিকদার, গোপালগঞ্জ সদরের শান্তি রঞ্জনের ছেলে অনাদী মন্ডল তিনি গোপালগঞ্জ সদর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক, গোপালগঞ্জ সদরের বনগ্রামের শামসুল শেখের ছেলে মোস্তাক আহমেদ, গোপালগঞ্জ সদরের নশর আলীর ছেলে মো. সজিব, গোপালগঞ্জ সদরের পাচুরিয়ার মাসুদ মিয়ার মেয়ে সুইটি আক্তার (১২), গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার কাঞ্চন শেখের ছেলে কবির শেখ, গোপালগঞ্জ সদরের আবু হেনা মোস্তফার মেয়ে আফসানা মিমি (১১), গোপালগঞ্জ সদরের মোকসদপুরের আমজেদ আলীর ছেলে মাসুদ (৩২), খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার শেখ মোহাম্মাদ আলীর ছেলে শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪৫), খুলনার চিত্র রঞ্জনের ছেলে চিন্ময় রঞ্জন ঘোষ(১৬), খুলনার ডুমুরিয়ার পরিমল সাধুখার ছেলে মহাদেব কুমার সাদুখা (১৫), খুলনা জেলার আমতলা গ্রামের শাজাহান মোল্লার ছেলে মো. আশফাকু জাহান লিংকন, ইমাদ পরিবহনের চালক ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আলমগীরের ছেলে মো. জাহিদ হোসেন, হেলপার মো. মিরাজ হোসেন।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাজিবুল ইসলাম বলেন, শিবচরে দূর্ঘটনা নিহত ১৬ জনের মরদেহ পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান আছে।