শেরপুরের নকলায় মরিচ চাষে স্বাবলম্বী
পারভেজ হাসান: জেলায় মরিচ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন নকলা উপজেলার পাঠাকাঠা ইউনিয়নের বারারচর গ্রামের আবু ইউসুফ নয়ন। তিনি চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় মরিচ চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি বাজারে মরিচের দাম ভালো পেয়ে আর্থিকভাবে বেশ লাভবানও হয়েছেন তিনি।
জানা যায়, আবু ইউসুফ অন্যান্য ফসলের চেয়ে মরিচ চাষে দাম ভালো পেয়ে এ চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। তিনি বিগত মৌসুমেও করলা, শশা, পেঁয়াজ ইত্যাদি চাষ করেও লাভবান হয়েছেন। তবে এবার মরিচের চাষ করে তিনি দ্বিগুন লাভবান হয়েছেন।
তিনি পেশায় একজন মসজিদের ইমাম ও মাদরাসা শিক্ষক। তিনি ইমামতি ও শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষি কাজ করছেন অনেক আগে থেকেই। তার বাড়ির পাশের প্রায় ২০ শতক জমিতে চলতি মৌসুমে মরিচের চাষ করেন। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় ও দাম ভালো পাওয়ায় খরচের দ্বিগুণ লাভবান হন। মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ায় আরও বেশি মরিচ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তিনি ও এ অঞ্চলের কৃষকরা। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় মরিচ বাজারজাত করে বিপুল অংকের অর্থ উপার্জনে আশাবাদী।
আবু ইউসুফ বলেন, আমার ২০ শতক জমিতে মরিচ উৎপাদনে খরচ পড়ে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। মরিচ বীজ রোপণের ফুল আসার পর ১৫-২০ দিনের মধ্যে কাঁচা মরিচ তোলা যায়। প্রতি মণ মরিচের গড় বাজারমূল্য ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা হিসাবে উপার্জন করি। এখন মরিচের চাহিদা বেশি তাই দামও বেশি।
তিনি আরও বলেন, এতে ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি করেছি আরও ২০-৩০ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে এ আশা করছি। আমি এবছর মরিচ চাষ করে সুফল পেয়েছি, এতে আমি খুশি।
এদিকে তার চাষ দেখে ওই এলাকার শামিম নামের এক কৃষক তার ১০শতক জমিতে বল্টু জাতের মরিচ লাগিয়েছেন। তিনি বলেন, কল্পনা ও করতে পারেনি যে এত বেশি বাম্পার ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া মরিচ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এবং আমাদের বøক কর্মকর্তারা প্রান্তিক চাষিদেরকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন।
সে যদি প্রান্তিক চাষি হয় তাকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে এবং আগামীতে উপজেলায় মরিচের চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছি।