
শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ ফেরাতে আজ থেকে চিঠি দিবে বিএসইসি
মাসুদ মিয়া: শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ফেরাতে কঠোর হচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার অনেক নিচে বা তুলনামূলক সক্ষমতার চেয়ে কম, সেসব ব্যাংককে বন্ড ছেড়ে বা অন্য উপায়ে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
এ লক্ষ্যে সীমার অনেক নিচে বা তুলনামূলক সক্ষমতার কম শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা ব্যাংকগুলোকে ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’ তিনভাগে ভাগ করে আজ বুধবার থেকে চিঠি দিবে বিএসইসি।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ফেব্রæয়ারি মাসের তথ্য অনুযায়ী অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার তুলনায় কম। এ অবস্থায় সেসব ব্যাংককে বিনিয়োগে ফেরাতে পদক্ষেপ হিসেবে চিঠি ইস্যু করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ এবং সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যাংক এর ধারেকাছেও নেই। অথচ সেসব প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজার থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে থাকে। এবার তাতে অনীহা প্রকাশ করতে যাচ্ছে বিএসইসি। শেয়ারবাজারে যেসব ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমার নিচে রয়েছে, সেসব ব্যাংককে বন্ড ছেড়ে বা অন্য কোনো উপায়ে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন না দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএসইসি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল বলেন, ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগের জন্য বুধবার থেকে চিঠি দেওয়া হবে। রেজাউল বলেন কমিশন নিয়মিতভাবে ব্যাংকগুলোর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টি তদারকি করে। কিন্তু গত ফেব্রæয়ারির তথ্যানুযায়ী অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতা বা বিনিয়োগ সীমার তুলনায় অনেক কম। কিন্তু শেয়ারবাজারের সহায়তায় ব্যাংকের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করা হয়। যে প্রত্যাশা পূরণে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনতে চিঠি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, যেসব ব্যাংক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার অনেক তলানিতে বা তুলনামূলক কম বিনিয়োগ করেছে, সেসব কোম্পানির পারপিচ্যুয়াল ও সাব-অর্ডিনেটেড বন্ডে অনুমোদনের ক্ষেত্রে ধীরগতি নীতি অনুসরণ করা হবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমার কাছাকাছি, সেগুলোকে সুপার ফার্স্ট (দ্রæত গতিতে) বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে।
