
‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’র শামীম শিকদার যাকে বিয়ে করতে চাইছিলেন আহমদ ছফা

দেবদুলাল মুন্না
আমি তাকে মিড এইটিজে দেখি। ঢাবিতে পড়ার সুবাদে। টিএসসিতে নীল জিনসের শার্ট প্যান্ট পরা,সিগারেট ফুকছেন। তার আড়ালে দাড়াইয়া তারে দেখি। যাচ্ছিল আদিত্য কবির।জিগাই,দোস্ত কে উনি? ও যাইতে যাইতে হাসতে হাসতে বলে,আগুন।
পরে তার সম্পর্কে জানতে চাইলে কেউ বলে, আরে কিছুই না,ভুংভাং।কেউ বলে নারীবাদী, কেউ পরিচয় দেয়, সিরাজ সিকদারের বোন। কেউবা বলে আহমদ ছফা প্রেমে পড়ে বিয়ে করতে চাইছিলেন।এইসব।কিন্তু এইসবকে আমি তার পরিচয় মনে করি না।
‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’র তিনি বা তার সেইসময়ে একটা রক্ষনশীল মহলের ইন্ধনে চাকরিচ্যুত করা এবং তারপরও একা অবিচল ফাইট করে যাওয়াই তিনি।
খুব যে বড় ফাইট টাইট করেছেন তেমনও না। কিন্তু একটা ইমেজ খাড়াই গেছিল।
আওয়ামী সরকার তাকে ইস্কাটন এলাকায় ভালো জায়গায় জমি দিছিল।কিন্তু এইটা এখনো পরিত্যক্ত মতন। যদিও তারই দখলে আছে। কথাটা বলার কারণ,কাজের প্রতি খুব একটা ডেডিকেটেড যে ছিলেন তেমনও না।
পলিটিক্যাল ইস্যুতে চুপ থাকতেন। নারী অধিকার বিষয়ে নীরব।
পরে তার সাথে ছফা ভাইয়ের উত্থানপর্বের অফিসে পরিচয়ের সুবাদে দুই দিন কথা হইছে।
আমার কাছে মনে হইছে অভিমানী ও নিজেই একটা রহস্য ঘেরা প্রাচীর তৈরি করে এর ভেতরে বসবাস করতে পছন্দ করেন।
ছফা ভাই বিয়া করতে চাইছিলেন। সিরিয়াসলি। এর আগে তিনিও ছফা ভাইকে বলছিলেন বিয়া করবেন। যেদিন বিয়া হওয়ার কথা ছফা ভাই অপেক্ষা করছেন।কিন্তু তিনি এলেন না।পরে আরেকজনকে বলেছিলেন, ছফাকে এমনেই বলছিলাম।তার মতো মানুষকে আমি বিয়ে করতে যাব কেন!
তারা ভালো বন্ধু ছিলেন। ভাই সিরাজ সিকদার তাকে ফুল টাইম বিপ্লবী রাজনীতিতে যোগ দিতে বলছিলেন। দেন নাই। বলছিলেন, রাজনীতি আমি বুঝি না।
বোঝেন না এটার প্রমাণ সিরাজ সিকদার যে দলের সরকারের আমলে খুন হোন পরে সেই দলের সরকারের কাছ থেকেই জমি নেওয়া।
এর আগে শামসুর নাহার হল আর জগন্নাথ হলের মধ্যে দিয়ে যে রাস্তা গিয়ে ফুলার রোডে মিশেছিল ( এখন নেই) সেখানে শেখ মুজিবের অনেক ভাস্কর্য গড়েছিলেন।
তবে তার সময়ে তিনি সাহসী জীবন যাপন করছেন এইটাও সত্য।
খুব নির্মম শুনাবে,কিন্তু আমার মনে হইছে তিনি কোন কিছুকেই সিরিয়াসলি ওউন করতেন না,এমনকি নিজের জীবনকেও।আমি তাকে মিড এইটিজে দেখি। ঢাবিতে পড়ার সুবাদে। টিএসসিতে নীল জিনসের শার্ট প্যান্ট পরা,সিগারেট ফুকছেন। তার আড়ালে দাড়াইয়া তারে দেখি। যাচ্ছিল আদিত্য কবির।জিগাই,দোস্ত কে উনি? ও যাইতে যাইতে হাসতে হাসতে বলে,আগুন।
পরে তার সম্পর্কে জানতে চাইলে কেউ বলে, আরে কিছুই না,ভুংভাং।কেউ বলে নারীবাদী, কেউ পরিচয় দেয়, সিরাজ সিকদারের বোন। কেউবা বলে আহমদ ছফা প্রেমে পড়ে বিয়ে করতে চাইছিলেন।এইসব।কিন্তু এইসবকে আমি তার পরিচয় মনে করি না।
‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা’র তিনি বা তার সেইসময়ে একটা রক্ষনশীল মহলের ইন্ধনে চাকরিচ্যুত করা এবং তারপরও একা অবিচল ফাইট করে যাওয়াই তিনি।
খুব যে বড় ফাইট টাইট করেছেন তেমনও না। কিন্তু একটা ইমেজ খাড়াই গেছিল।
আওয়ামী সরকার তাকে ইস্কাটন এলাকায় ভালো জায়গায় জমি দিছিল।কিন্তু এইটা এখনো পরিত্যক্ত মতন। যদিও তারই দখলে আছে। কথাটা বলার কারণ,কাজের প্রতি খুব একটা ডেডিকেটেড যে ছিলেন তেমনও না।
পলিটিক্যাল ইস্যুতে চুপ থাকতেন। নারী অধিকার বিষয়ে নীরব।
পরে তার সাথে ছফা ভাইয়ের উত্থানপর্বের অফিসে পরিচয়ের সুবাদে দুই দিন কথা হইছে।
আমার কাছে মনে হইছে অভিমানী ও নিজেই একটা রহস্য ঘেরা প্রাচীর তৈরি করে এর ভেতরে বসবাস করতে পছন্দ করেন।
ছফা ভাই বিয়া করতে চাইছিলেন। সিরিয়াসলি। এর আগে তিনিও ছফা ভাইকে বলছিলেন বিয়া করবেন। যেদিন বিয়া হওয়ার কথা ছফা ভাই অপেক্ষা করছেন।কিন্তু তিনি এলেন না।পরে আরেকজনকে বলেছিলেন, ছফাকে এমনেই বলছিলাম।তার মতো মানুষকে আমি বিয়ে করতে যাব কেন!
তারা ভালো বন্ধু ছিলেন। ভাই সিরাজ সিকদার তাকে ফুল টাইম বিপ্লবী রাজনীতিতে যোগ দিতে বলছিলেন। দেন নাই। বলছিলেন, রাজনীতি আমি বুঝি না।
বোঝেন না এটার প্রমাণ সিরাজ সিকদার যে দলের সরকারের আমলে খুন হোন পরে সেই দলের সরকারের কাছ থেকেই জমি নেওয়া।
এর আগে শামসুর নাহার হল আর জগন্নাথ হলের মধ্যে দিয়ে যে রাস্তা গিয়ে ফুলার রোডে মিশেছিল ( এখন নেই) সেখানে শেখ মুজিবের অনেক ভাস্কর্য গড়েছিলেন।
তবে তার সময়ে তিনি সাহসী জীবন যাপন করছেন এইটাও সত্য।
খুব নির্মম শুনাবে,কিন্তু আমার মনে হইছে তিনি কোন কিছুকেই সিরিয়াসলি ওউন করতেন না,এমনকি নিজের জীবনকেও।
