ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজিতে দাম কমেছে ৩০ টাকা
মো. আখতারুজ্জামান : কমতে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পর খুচরা বাজারে পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে। মাত্র একদিনের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম কমেছে কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২৪০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। প্রতি কেজি ৩৫০-৩৬০ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার যেখানে ব্রয়লার মুরগি ২৬০-২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগির দাম ছিলো ৩৬০-৩৮০ টাকা। কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মুরগির দোকানে ভিড় তুলনামূলক কম। রমজানে অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় মুরগির চাহিদা কমে গেছে। সবজির বাজারেও ক্রেতা কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। বিক্রেতারা জানান, ব্রয়লার মুরগি ২৫০ টাকা ও সোনালি মুরগির দাম ৩৬০ টাকার বিক্রি হচ্ছে। বাজারের অনেক জায়গায় ২৪০-২৫০ টাকায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে দেখা যায়। আরিফ নামে একজন ক্রেতা জানান, তিনি ২৪৫ টাকা দরে দুটি মুরগি কিনেছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমেছে। তারা জানান, আগের তুলনায় তাদের বিক্রি কমে গেছে। এ অবস্থায় দাম আরও কমতে পারে বলে জানান তারা। বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের বোর্ডরুমে রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভা হয়।
এতে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, শিগগিরই বাজারে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম না কমালে সরকার এগুলো আমদানির পথে হাঁটবে। আর তখন এফবিসিসিআই আপত্তি জানাবে না।
কারওয়ান বাজার কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী সোহেল দায়দারের সঙ্গে। তিনি জানান, সরকারিভাবে বাজার ভালোভাবে মনিটরিং করা গেলে পণ্যে দাম কমে আসতো।
স্পিকারের সঙ্গে ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
সিনথিয়া চিছাম : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সস্ত্রীক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন। বৃহস্পতিবার স্পিকারের সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে তারা এই সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে তারা বাংলাদেশের অভ‚তপূর্ব উন্নয়ন, দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, সংসদীয় মৈত্রী গ্রæপ, পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের সম্ভাবনা, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে জার্মানির বিনিয়োগ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পূর্বে ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আশিয়ান (অঝঊঅঘ)-ভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপন জরুরি। সংসদীয় মৈত্রী গ্রæপের পারস্পরিক সফর বিনিময় ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে। এ সময় বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রদূতের অব্যাহত সহযোগিতাও কামনা করেন স্পিকার। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দ্রæত প্রসারমান। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভিয়েতনামের বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ ভিয়েতনাম ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি দুদেশের সম্পর্কন্নয়নে কাজ করছে। পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত। এ সময়, সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন