এস.ইসলাম জয় : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দেশের সমস্যাগুলোর প্রযুক্তি নির্ভর সমাধান দিয়ে অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় তরুণ উদ্ভাবকেদের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন। তিনি বলেন আমাদের তরুণদের মেধার ঘাটতি নেই, তাদের প্রয়োজন সহযোগিতা। বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্টের মাধ্যমে আমরা সেই সুযোগ করে দিচ্ছি। আমাদের তরুণ উদ্ভাবকেরা শুধু দেশের নয় বিশ্বের সমস্যা সমাধান করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গতকাল মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে দেশের উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপদের জন্য সর্ববৃহৎ আয়োজন বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) এর তৃতীয় পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার জন্য আমরা ইনোভেশন অ্যান্ড অন্ডার প্রেনিউরশিপ একাডেমি প্রকল্প চালু ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেছি। এ প্রতিষ্ঠান সমূহের মাধ্যমে দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে উঠবে। পাশাপাশি আগামীতে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের আকর্ষনীয় হাব-এ পরিণত হবে। ভারত-সিঙ্গাপুরের মধ্য থেকে এরই মধ্যে বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলোকে ৮০০ মিলিয়নের ওপর বিনিয়োগ এসেছে। স্টার্টআপ ধীরে ধীরে ওঠে না, রকেটের গতিতে ওঠে। বিকাশ, নগদ ও শপআপ এরই মধ্যে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হয়েছে। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২৩ এর পুরস্কার হিসেবে সেরা একটি স্টার্টআপকে দেওয়া হবে বিশেষ সম্মাননা এবং গ্র্যান্ট হিসেবে ১ কোটি টাকা অনুদান। বাকি নির্বাচিত তালিকার সেরা ৫০ স্টার্টআপ এর প্রত্যেককে দেওয়া হবে ১০ লক্ষ টাকা করে অনুদান।
এছাড়া, স্টার্টআপদের জন্য রয়েছে বিনিয়োগ পাবার সুবিধাসহ নানা সুযোগ। অর্থাৎ সেরা ৫১টি স্টার্টআপকে মোট ৬ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, বিগ ২০২৩ এর সেরা ৫১টি স্টার্টআপকেই দেওয়া হবে বিশেষ সম্মাননা সনদ। বিগ সর্বপ্রথম ২০১৯ সালে স্টার্টআপদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর ২০২১ সালে সফলভাবে ২য় বারের মত অনুষ্ঠিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে, ২০২৩ সালে উক্ত জনপ্রিয় আয়োজনটি ৩য় বারের মত আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। নিবন্ধন ও বিগ সম্পর্কে আরোও বিস্তারিত জানা যাবে ওয়েবসাইটে।