মুন্সীগঞ্জে ঘরে ঘরে মিনি গার্মেন্টস
সিনথিয়া চিছাম : পোশাক তৈরির গ্রাম মুন্সীগঞ্জের সিপাহিপাড়ায় ঘরে ঘরে গড়ে উঠেছে মিনি গার্মেন্টস। রাজধানীর বড় বড় বিপণিবিতানে সরবরাহ করা হচ্ছে এখানকার তৈরি পোশাক। করোনার ধাক্কা সামলে এবারের ঈদে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ঢাকার অদূরে মুন্সীগঞ্জের সিপাহিপাড়া গ্রাম। এ গ্রামের প্রতিটি বাড়ি যেন একটি করে গার্মেন্টস কারখানা। ছোট ছোট ঘরেই রঙ-বেরঙয়ের পোষাক তৈরি হচ্ছে রাতদিন। ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক সব প্রযুক্তি। কম্পিউটারাইজড অ্যামব্রয়ডারি মেশিন ব্যবহার করে চমৎকার সব ডিজাইন করা হচ্ছে। এরপর কারিগরদের নিপুণ হাতে তৈরি হচ্ছে পোশাক।
কাপড় কাটা, সেলাই, ডিজাইন ও প্যাকেটিংয়ের পর ঢাকার নামকরা বিপনি বিতানগুলোতে বাজারজাত করা হচ্ছে এসব পোশাক। আবার অনেক পাইকার সরাসরি রেডিমেড পোশাক কিনে নিচ্ছেন এসব তৈরি পোশাক কারখানা থেকে।
উদ্যোক্তারা জানান, করোনার সময় ব্যবসায়ে লোকসান গুনতে হয়েছে। ঈদের সময় কাজের চাপ বাড়বে। তাই ব্যবসা চালানোর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। তবে করোনার ধাক্কা সামলে এবারের ঈদে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা রয়েছে তাদের।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদে রঙ-বেরঙের পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রায় দুই হাজার মিনি গার্মেন্টসের ১৫ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। ঈদ ঘিরে এখানকার গার্মেন্টসগুলোর প্রায় ৫০০ কোটি টাকার পোশাক বিক্রির টার্গেট রয়েছে। এছাড়া এখানে বস্ত্র হাটের ব্যবস্থা করা হলে এলাকার অর্থনীতি আরও সচল হবে জানান উদ্যোক্তারা। মুন্সীগঞ্জের সিপাহিপাড়ার মিনি গার্মেন্টসের মালিক মোক্তার হোসেন বলেন, এখানে পণ্য উৎপাদন করে বিক্রির জন্য ঢাকায় পৌঁছে দিতে হয়। তবে স্থানীয়ভাবে হাটের ব্যবস্থা করা হলে পণ্য বিক্রি বাড়বে। পাশাপাশি এলাকার অর্থনৈতিক চিত্রেও পরিবর্তন আসবে। সূত্র : সময়টিভি অনলাইন