দৈনিক জীবন চলার টাকা নিশ্চিত রেখে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করা শ্রেয়
মাহমুদুল হক আলিফ : আমেরিকার অন্যতম বড় ব্যাংক ঝরষরপড়হ ঠধষষবু ইধহশ হঠাৎ করে অনেক ডিপোজিট পাওয়া শুরু করলো। এতো লিকুইডিটি পেয়ে কোথায় বিনিয়োগ করবে চিন্তায় পড়ে গেলো ব্যাংকটি। উপায় অন্তর না পেয়ে তারা ১০ বছর মেয়াদী গইঝ (গড়ৎঃমধমবফ ইধপশবফ ঝবপঁৎরঃরবং) এ বিনিয়োগ করে। গড়ে তারা ২ শতাংশের কাছাকাছি রিটার্ন পেতে থাকে। বিপত্তি ঘটলো যখন ফেডারেল রিজার্ভ (কেন্দ্রীয় ব্যাংক) সুদ হার বাড়িয়ে দিল। কীভাবে এবং তাতে কি ক্ষতি হলো? যারা এই ব্যাংকে টাকা রেখেছে তারা এখন ওই টাকা তুলে সরকারি সিকিউরিটি (বিল/বন্ড) কিনলেও এর চেয়ে বেশি রিটার্ন পাবে। তাইলে কোন পাগলে এই ব্যাংকে টাকা রাখবে। অংক সহজ টাকা তুলে ফেল এবং অন্য জায়গায় বিনিয়োগ কর।
ব্যাংকের সমস্যাটা কোথায় হলো? ব্যাংক ডিপোজিটরদের নিকট থেকে টাকা নিয়েছে ৩ মাস, ৬ মাস, ১ বছর কিংবা ৫ বছর মেয়াদের জন্য। (ডযরপয রং ঝযড়ৎঃ ঞবৎস অংংবঃ ভড়ৎ ঃযব ইধহশ) কিন্তু বিনিয়োগ করে বসে আছে ১০ বছরের জন্য। (ডযরপয রং খড়হম ঞবৎস ওহাবংঃসবহঃ ভড়ৎ ঃযব নধহশ) তাহলে ডিপোজিটরগণ টাকা চাইলে দেবে কোথা থেকে? এইটাকে আমরা বলি অংংবঃ খরধনরষরঃু গরংসধঃপয। এইটা ম্যানেজ করার কৌশলকে অংংবঃ খরধনরষরঃু গধহধমবসবহঃ (অখগ) বলে। এইটা আবার কি জিনিস? ডিপোজিটের টাকা ব্যাংককে একসময় পরিশোধ করে দিতে হবে। তাই এইটা ব্যাংকের দায় (খরধনরষরঃু)। অন্য দিকে ব্যাংক যে গইঝ এ বিনিয়োগ করল সেইটা অংংবঃ। এই দুই জায়গায় সময়ের গ্যাপটাই অংংবঃ খরধনরষরঃু গরংসধঃপয। ব্যাপারটা হলো ৮০ লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ি বানানোর জন্য জমি কিনেছি। বাড়ি করার উপযোগী হবে ১০ বছর পর। ধরে নিচ্ছি, এর মধ্যে জমি বিক্রি করলে আবার লস। আবার প্রতি মাসে ব্যাংকের কিস্তি দিচ্ছি। তাইলে কি চলার টাকা থাকবে হাতে?
এইটা হলো লিকুইডিটি ক্রাইসিস। মানে দৈনিক জীবন চালানোর টাকা হাতে নাই। এই ব্যাংকে এই ঘটনাই ঘটেছে। যখন তারা ঘোষণা দিল আমাদের আরও ইক্যুইটি লাগবে, বিপত্তি আরও বেড়ে গেল। তারা ভাবল চুপিসারে কায়দা করে ইক্যুইটি ইস্যু করে টাকা পেয়ে যদি লিকুইডিটির সমস্যা সমাধান করা যায়। বুদ্ধিমান ডিপোজিটরগণ ভাবতে শুরু করলো কী ব্যাপার এই ব্যাংকে এত ডিপোজিট আছে। তাইলে ওদের নতুন করে টাকা লাগবে কেন? নিশচয়ই কোন হেরপের হয়েছে। সো চল আমাদের টাকা তুলে ফেলি। ফলাফল: বুঝতেই পারছেন। এখান থেকে কি শিক্ষা নেয়া যায়? দৈনিক জীবন চলার টাকা নিশ্চিত রেখে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করা শ্রেয়। ফেসবুক থেকে