শাহাজাদা এমরান: রমজান শুরুর আগেই ব্যস্ততা বাড়ে। দেখতে সুন্দর ও খেতে স্বাধ লাগলেও দাম কিছুটা বেশির কারণে সাধারণ মুড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকতে পারছে না। মুড়ির গ্রাম হিসেবে পরিচিত বরুড়ার উপজেলার ল²ীপুর গ্রাম। রমজান মাস এলেই এই গ্রামের মানুষের ব্যস্ততা যেন বেড়ে যায়।শত বছর ধরে এই কাজ করে যাচ্ছেন তারা। রমজানকে ঘিরে তাদের বাড়তি চিন্তা। সকাল থেকে শুরু করে দিনভর কাঠের চুলা জ্বালিয়ে মুড়ি ভাজছেন নারীরা। সঙ্গে হাত লাগাচ্ছেন পুরুষেরাও।
পারিবারিক পেশা হিসেবে ছেলেবেলা থেকেই মুড়ি তৈরি করছেন স্বপন সাহা। তিনি বলেন, আগে মুড়ি বিক্রি করেই আমাদের সংসার ভালোভাবেই চলতো। কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত মুড়ি আসার পর থেকেই আমাদের হাতে ভাজা মুড়ি কেউ খেতে চান না।
কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি মেশিনে ভাজা মুড়ি ৭০/৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু, সেই তুলনায় হাতে ভাজা মুড়ি বিক্রি হয় ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকায়। মেশিনে ভাজা মুড়ির গুণগত মান ও স্বাদ হাতে ভাজা মুড়ির তুলনায় অনেকাংশেই কম। কিন্তু, মেশিনে ভাজা মুড়ির দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা এর দিকেই ঝুঁকছে বেশি। রাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী হারুন মিয়া বলেন, রোজার মাস আসলেই আমি দোকানে হাতে ভাজা মুড়ি উঠাই। কারণ এই সময়ে এইটা মোটামুটি বিক্রি হয়। কিন্তু, অন্যসময় সবাই প্যাকেটের মুড়িই খায়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান