বিশ্বের প্রায় হাফ ডজন ব্যবসায়ী যারা ২০২৩ সালেলোকসানের মুখে পড়েছেন
বিশ্বজিৎ দত্ত : তাঁরা সকলেই কোটিপতি। কেউ কোনও নামী সংস্থার সিইও। আবার কেউ শিল্পপতি। সেই তাঁরাই চলতি বছর লোকসানের মুখে পড়েছেন। ২০২৩ সালের শুরুতেই তাঁরা ধাক্কা খেয়েছেন। লোকসানের অঙ্কটাও নেহাত কম নয়! কয়েক লক্ষ কোটি সম্পত্তি খুইয়েছেন তাঁরা। এই বিত্তবানদের তালিকায় রয়েছেন ভারতের দুই শিল্পপতি।প্রথমেই কথা বলা যাক জেফ বেজোসকে নিয়ে। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও তিনি। চলতি বছরে বিপুল ক্ষতি হয়েছে বেজোসের। লোকসানের অঙ্কটা ৭০০০ কোটি ডলার। এত পরিমাণ সম্পত্তির লোকসানের পরও তাঁর মোট সম্পদের অঙ্কটা জানলে চমকে যাবেন। বেজোসের এখনও মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।
চলতি বছরে ক্ষতির মুখে পড়েছেন টেসলা কর্তা তথা টুইটারের মালিক ইলন মাস্কও। তিনিও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি খুইয়েছেন। ৪৮০০ কোটি ডলার সম্পত্তির লোকসান হয়েছে মাস্কের। এত পরিমাণ সম্পদের লোকসানের পরও মাস্কের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনেরও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। ৪৪০০ কোটি ডলারের সম্পদের লোকসান হয়েছে তাঁর। বর্তমানে সের্গেইয়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭২০০ কোটি ডলার। ক্ষতির মুখে পড়েছেন গুগলের আরও এক সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ। তাঁর ৪১০০ কোটি ডলারের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে ল্যারির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭৫০০ কোটি ডলার। জেফ বেজোসের প্রাক্তন স্ত্রীও লোকসানের মুখে পড়েছেন। ম্যাকেঞ্জি স্কটের ক্ষতির অঙ্ক ৩৫০০ কোটি ডলার। ম্যাকেঞ্জির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৬০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক প্রায় ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।চলতি বছরে মুখ থুবড়ে পড়েছেন ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানি। আমেরিকার লগ্নি গবেষণাকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, কারচুপি করে নিজেদের শেয়ারের দর বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই লোকসানের মুখে পড়েছেন আদানি। তাঁর ক্ষতির অঙ্ক ২৮০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা।বর্তমানে আদানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫৩০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক প্রায় ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৬১২ কোটি টাকা।
আদানির মতো ভারতের আরও এক নামী শিল্পপতিও লোকসানের মুখে পড়েছেন। তিনি মুকেশ অম্বানী। তাঁর ক্ষতি হয়েছে ২১০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক প্রায় ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।মুকেশের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮২০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক প্রায় ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
চিনা শিল্পপতি জেং ইউকুনও লোকসানের মুখে পড়েছেন। তাঁর ক্ষতি হয়েছে ১৮০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক প্রায় ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫০০ কোটি ডলার। সফ্টঅয়্যার সংস্থা আটলাসিয়ানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা স্কট ফারকুহারের লোকসানের অঙ্ক ১৭০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭০০ কোটি টাকার সমান। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১০০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮২ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা।বাইটডান্স সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইমিংয়ের ক্ষতির অঙ্ক ১৭০০ কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৩ লক্ষ ৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা।