জাপান দূতাবাসের দেড়বিঘা জমি কিনছে বাংলাদেশ
সোহেল রহমান : রাজধানীর গুলশান আবাসিক এলাকায় দোতলা ভবনসহ দেড় বিঘা আয়তনের অধিক জাপান দূতাবাসের মালিকানাধীন একটি প্লট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ‘রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে’ এটি কেনা হচ্ছেÑ বলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। প্লটটি কেনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। অবকাঠামোসহ জমির মূল্য, স্ট্যাম্প, রেজিস্ট্রেশন এবং অন্যান্য ফি ও কর বাবদ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এটি কিনতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ১৭৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র আগামী বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গুলশান আবাসিক এলাকার এনই (এম) বøকের ৮৪ নং রাস্তা সংলগ্ন দোতলা ভবনসহ জাপান দূতাবাসের প্লটটির আয়তন ১ বিঘা ১১ কাঠা ১১ ছটাক। ভবনসহ প্লটটি বিক্রির আগ্রহ ব্যক্ত করে জাপান দূতাবাসের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হলে চিঠিটি পরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। জাপান দূতাবাসের প্রস্তাবে জমির প্রদর্শিত মূল্য ১৬০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রচলিত বাজার মূল্য যাচাই-পূর্বক আলোচ্য প্লটের জমি ও অবকাঠামোসহ সম্পত্তির মোট মূল্য নির্ধারণে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ-২)-কে আহবায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদনে অবকাঠামোসহ জমির প্রস্তাবিত মূল্য ১৬০ কোটি টাকা বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়।
সূত্র জানায়, অবকাঠামোসহ জমির প্রস্তাবিত মূল্যের সঙ্গে স্ট্যাম্প, রেজিস্ট্রেশন ফি, এন ফি, গেইন ট্যাক্স (উৎসে কর), স্থানীয় সরকার কর, এনএন ফি বাবদ আরও ১৩ কোটি ৯১ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা প্রয়োজন। বিক্রির শর্ত অনুযায়ী, এগুলো ক্রেতাপক্ষ বহন করবে এবং অন্যদিকে প্লটের বিক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পূর্বেই বিক্রেতাপক্ষ প্লটের সকল বকেয়া ইউটিলিটি বিল ও কর পরিশোধ করবে।
জানা যায়, জাপান দূতাবাসের মালিকানাধীন প্লটের মূল্য পরিশোধে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট থেকে বিশেষ/থোক বরাদ্দ প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ বরাবর অনুরোধ প্রস্তাব পাঠাতে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-কে পরামর্শ বা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ধারাবাহিকতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক অর্থ বিভাগ-এর সিনিয়র সচিব বরাবর চিঠি প্রেরণের প্রেক্ষিতে চলতি অর্থবছরের বাজেটের অপ্রত্যাশিত ব্যয় ব্যবস্থাপনার আওতাধীন ‘অপ্রত্যাশিত ব্যয়’ খাত থেকে ভূমিগ্রহণ/ক্রয় খাতে ১৭৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ্রস্তাব করেছিল। তারপর, ২৪-২৫ ফেব্রæয়ারি ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত এ ২০ অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বৈঠকের ফাঁকে, ডলারকে বিনিময় মুদ্রা হিসাবে স্থানান্তর করার বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল।
সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুপি ব্যবহার করে এ ধরনের ব্যবস্থার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।