মাথাপিছু পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে অনেক বেড়েছে ব্যাংকের কঠিন শর্ত পূরণ করে ঋণ নিতে পারছে না কৃষক : কৃষিমন্ত্রী
মতিনুজ্জামান মিটু : বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। দেশ থেকে মঙ্গাকে দূর করেছে। মানুষ এখন পেট ভরে ভাত খেতে পায়। একইসঙ্গে, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ফলমূলসহ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের মাথাপিছু প্রাপ্যতা ও গ্রহণের হার অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক বেড়েছে। রোববার টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এবি ব্যাংক আয়োজিত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে এবারের স্বাধীনতা দিবসে মাছ, মাংস আর চালের স্বাধীনতা নিয়ে অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রচার করে স্বাধীনতার চেতনায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চেতনাকে উসকে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল সংবাদ পরিবেশন ও মিথ্যাচার করে দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় জয় বাংলা উল্লেখ এবং মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। অথচ দেশে বিএনপি জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধীরা ‘জয় বাংলা’ ¯েøাগান মুখে আনে না ও দেশের স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে নানান ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জয় বাংলা ¯েøাগান দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশটাকে স্বাধীন করেছি। জয় বাংলা ¯েøাগান হলও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বহিঃপ্রকাশ ও বাঙালি জাতির সাহস সক্ষমতার প্রতীক। অসা¤প্রদায়িক চেতনা, গণতান্ত্রিক চেতনা ও সম্পদের সুষম বণ্টনের চেতনার বহিঃপ্রকাশ হলও জয় বাংলা ¯েøাগান। এ¯েøাগান বিএনপি দেবে না। কৃষিঋণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষিখাতে মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো নানান কঠিন শর্ত দিয়ে রেখেছে। অনেক সময়ই এসব শর্ত কৃষকেরা বিশেষ করে ক্ষুদ্র প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকেরা পূরণ করতে পারে না। এর ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন।
সেজন্য, প্রকৃত কৃষককে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে। কৃষিঋণের যথাযথ ব্যবহারের আহŸান জানিয়ে কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ঋণ নিয়ে কৃষি’র উৎপাদনশীল খাতে কাজে লাগাতে হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কৃষকদের মাঝে কৃষিঋণ বিতরণ করেন ও স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সহজ শর্তে কৃষকদের ঋণ দেওয়ায় এবি ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান। এবি ব্যাংক সহজ শর্তে মাত্র শতকরা চার ভাগ সুদে মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার ১৫০০ কৃষকের মাঝে কৃষিঋণ বিতরণ করে। প্রতি কৃষককে এক লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়।
এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমিন, পৌরমেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম তপন প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।