আগুনে নিঃস্ব ব্যবসায়ীরা কখনো চিনতে পারবেন কারা তাদের স্বপ্ন পুড়িয়ে দিচ্ছে
আনু মুহাম্মদ:এরশাদ আমল থেকে সব সরকার প্রধানের মুখেই এই কথাটা বেশি শুনি। ইউনুস সাহেব বলেছেন বহুবার, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও প্রায়ই বলেন-‘কেন চাকরি বাকরি খোঁজে আমাদের তরুণেরা। উদ্যোক্তা হতে হবে, স্বাধীন ব্যবসা ধরতে হবে।’ আসলে ৮৫ শতাংশ মানুষই তো স্থায়ী চাকরির বাইরে, নানাকিছু করে চলতে চেষ্টা করেন। কর্তাদের কথা মান্য করে কেউ ফুটপাতে বসে, আর একটু ভালো অবস্থা যাদের তারা বাজারে দোকান খুঁজে নেয়, বিরাট ভাগ্য মনে করে। কতো যে স্বপ্ন জমতে থাকে এই ছোট্ট ঘর ঘিরে।
যারা এসব কাজে আসতে বাণী দেন তারা এদের জন্য কী ব্যবস্থা করেন? না, ব্যাংকঋণ, নিরাপত্তা কিছু নাই। বরং উল্টো সরকারি দলের ক্রমবর্ধমান চাঁদার চাহিদা পূরণ, তাদের দলের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক, আর মাঝেমধ্যেই পুলিশের অত্যাচার। এতেও সবাই রাজী, না হয়ে উপায় কী? কিন্তু তাতেও খাই মেটে না। একদিন, প্রয়োজনে কয়েকদফা আগুন লাগে বস্তি বা এই সব বাজারে।
কারা বঙ্গবাজারে আগুন লাগিয়েছে তা সংশ্লিষ্ট কেউ খুঁঁজে পাবে না। তবে অনেকেই বোঝে, যাদের খোঁজার কথা তারা তো বটেই। পোড়া ধ্বংসস্তুপ হবে বারবার, একসময় সুবিধামতো ক্ষণে এখানে বহুতল ভবন হবে, বড় আয়োজনে আজকের নি:স্ব লোকজন হয়তো দেয়ালে ঝুলে ঝুলে কাজ করবে। তারা কি তখন চিনতে পারবেন কারা তাদের ছোট্ট ব্যবসা আর স্বপ্ন ভয়ংকর লোভে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে? (ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেয়া)