সোহেল রহমান : দেশের সর্বত্র খুচরা পর্যায়ে পরিশোধিত খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম কেজি প্রতি ৩ টাকা কমিয়েছে সরকার। বর্তমানে পরিশোধিত খোলা ও প্যাকেটজাত প্রতি কেজি চিনির সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হচ্ছে যথাক্রমে ১০৭ টাকা ও ১১২ টাকা। এটি কমিয়ে যথাক্রমে ১০৪ টাকা এবং ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল শনিবার থেকে নির্ধারিত এ নতুন দাম কার্যকর হবে।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
জানা যায়, পবিত্র রমজান উপলক্ষে চিনির বাজারে অস্থিরতা কমাতে আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চিনির দাম নির্ধারণ বা সমন্বয় করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
‘পরিশোধিত চিনির মূল্য নির্ধারণ’ শীর্ষক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স-এর গত ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরএ)-এর ২৭ মার্চের আবেদন পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন-এর সুপারিশ অনুযায়ী পরিশোধিত চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সমন্বয় করা হলো। নতুন এ দাম আগামী ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
এদিকে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর বৃহস্পতিবারের বাজার দরের তালিকায় দেখা যায়, ঢাকার বাজারে এখন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকা থেকে ১১৫ টাকায়। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা চিনি কেজিপ্রতি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১১২ থেকে ১১৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, নিয়ন্ত্রিত সরবরাহের কারণে দেশের বাজারে কয়েক মাস বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি। সমস্যা সমাধানে বাজার স্বাভাবিক করতে শুল্ক কমানোর সুপারিশ করে গত জানুয়ারিতে এনবিআরকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপরই এনবিআর শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নেয়। এনবিআর চিনি আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়েছে। একই সঙ্গে প্রতি টন অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ৩ হাজার টাকা এবং পরিশোধিত চিনিতে ৬ হাজার টাকা আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। এ সুবিধা আগামী ৩০ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি চিনির মূল্য নির্ধারণ করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই সময় পরিশোধিত প্রতি কেজি খোলা চিনির মিলগেট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০২ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১০৪ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা। অন্যদিকে প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০৭ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ১০৯ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১১২ টাকা।