মো. আখতারুজ্জামান : চার দিনের মাথায় অর্থাৎ ৭৫ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। সর্বশেষ ২টি ইউনিট কাজ করে আগুন নির্বাপণ করে তারা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে দেখা যায়, পোড়া মার্কেট নিয়ে আবার কিভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায় সেই প্রাণপণ চেষ্টা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারই অংশ হিসেবে পোড়া টিন, আসবাবপত্র বা বিভিন্ন মালামাল সরিয়ে তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করছেন।
তার সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনও যোগ দিয়েছেন। তবে ব্যবসায়ীদের চোখে মুখে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ লক্ষ্য করা গেছে।
রায়হান উল্লাহ বলছিলেন, আমার দোকান ছিলো বঙ্গবাজারের নিচ তলায়। ঈদ উপলক্ষে ব্যাংক ঋণ ও ধার করে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল তুলেছিলাম। ভালো ব্যবসা হবে এই প্রত্যাশায়। কিন্তু আগুনে সেই স্বপ্ন পুড়ে গেছে।
তারপরও কিভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, পরিবার তো আছে, তাদের তো বাঁচাতে হবে। এ কারণে পুনরায় ব্যবসা শুরুর চিন্তা নিয়ে এখানে এসেছি।
ক্ষতিগ্রস্ত আরেক ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, আগুনে আমার সব স্বপ্ন পুড়ে গেছে। এখন আবার ব্যবসা করা যায় নাকি সেই প্রাণ প্রাণ চেষ্টা শুরু করেছি। কেন না ৭ জনের সংসার আমার। এই ব্যবসার ওপরই নির্ভরশীল ছিলো। সামনে ঈদ কিভাবে তা পার করব ভেবে চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়ে গেছে। গত মঙ্গলবার ভোরে বঙ্গবাজারে ভয়াবহ এ অগ্নিকাÐের ঘটনা ঘটে। আগুনে প্রায় ৫ হাজার দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।