নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর বঙ্গবাজারে সংগঠিত ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে উক্ত মার্কেটের হাজারো ব্যবসায়ীরা সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। আসন্ন ঈদ-উল ফিতর কে সামনে রেখে উক্ত মার্কেটের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তারা মালামাল ক্রয়ের জন্য ইতোমধ্যে অর্থলগ্নি করেছেন, যা অনাকাঙ্খিত এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তাদেরকে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন করেছে। এ দূর্যোগ বিবেচনায়, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের দ্রæত পুর্নবাসনের জন্য তাদেরকে আর্থিক সহায়তার আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন বলে গতকাল রোবার জানিয়েছে রোববার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
ডিসিসিআই’র সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যার্থে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার সাত্তার বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনার জন্য বেশকিছু সুপারিশ করেছেন।
যেমন- ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের গৃহীত আর্থিক লোনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পুণরায় চালু করতে সুদমুক্ত বা স্বল্প সুদে বিশেষ মেয়াদী ঋণ প্রদানের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা প্রদান; ইতোমধ্যে যারা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন ধরনের মেয়াদি, ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ও ক্যাশ ক্রেডিট ঋণ গ্রহণ করেছেন তাদের ঋণের সুদ হার কমানো সহ বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ঋণের ধরণের উপর ভিত্তি করে কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা বৃদ্ধি করা, সে পর্যন্ত তাদের ঋণসমূহকে ক্লাসিফাইড হিসেবে ঘোষণা না করা।
সরকারের বিদ্যমান বিভিন্ন পুণঃঅর্থায়ন স্কীমের আওতায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি নিরুপণ পূর্বক তাদেরকে সহজ শর্তে প্রদত্ত ঋণসমূহের আওতায় নিয়ে আসা।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি বিশ^াস করেন যে, ক্ষতিগ্রস্থ উদ্যোক্তাদের সহায়তার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক যদি উপরোক্ত প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করে, তাহলে উদ্যোক্তাদের দ্রæত পুর্নবাসন করা সম্ভব হবে। সেইসঙ্গে এর সাথে সম্পৃক্ত কর্মচারিা জীবনাযাত্রা স্বাভাবিক হবে।