সয়াবিন একটি লাভজনক চাষ ৯ মন সয়াবিন উৎপাদন হয় ৪ হাজার টাকায়
বিশ্বজিৎ দত্ত : গাইবান্ধায় সয়াবিন চাষে কৃষক রেজাউল করিম সাফল্য পেয়েছেন। তিনি গত বছর এই ফসলের চাষ করে লাভবান হওয়ায় এবছর আরো বেশি জমিতে চাষ করেছেন। বর্তমানে তার জমির চারিদিকে সবুজের সমারোহ। বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি গত বছরের মতো এবছরও লাভের স্বপ্ন দেখছেন। জানা যায়, কৃষকরা রেজাউল করিম গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার উত্তর কাজীবাড়ী সন্তোলা গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি গত বছর ৪০ শতাংশ জমিতে পরিক্ষামূলকভাবে সয়াবিনের চাষ করেছিলেন। জমিতে ১১ মণ ফলন পেয়েছিলেন। চাষে তার খরচ হয়েছিল মাত্র ৪ হাজার টাকা। যা প্রতিমণ ১২০০ টাকা দরে বিক্রি করে লাভবান হতে পেরেছিলেন। তাই এবছর দেড় একর জমিতে চাষ করেছেন। বাম্পার ফলনে সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, শীত ও গ্রীষ্ম দুই মৌসুমেই সয়াবিনের চাষ করা যায়। শীতের পৌষ মাসে ও গ্রীষ্মের শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে এর বীজ বপন করা যায়। প্রতিটি গাছের দূরত্ব আড়াই ইঞ্চি রাখতে হয়। গাইবান্ধায় ১৫০ একর জমিতে এর চাষ করা হয়েছে।
সয়াবিন চাষি রেজাউল করিম বলেন, সয়াবিন চাষে খরচ কম লাগে। আর এর চাষ খুব লাভজনক। বিঘাপ্রতি ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়। বাম্পার ফলন হলে বিঘায় ৯ মণের মতো সয়াবিন পাওয়া যায়। আর বর্তমান বাজারে সয়াবিনের দাম ভালো তাই বিঘাপ্রতি ১২-১৪ হাজার টাকার সয়াবিন বিক্রি করা যায়। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তাহের মিয়া বলেন, দেশে দিন দিন ভোজ্যতেলে দাম চাহিদা বাড়ছে। খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন ধরনের খাবারের মধ্যে প্রায় ২০-২২ ভাগ সয়াবিনের ব্যবহার হয়। এছাড়াও দুধ ও বিস্কুট তৈরীতেও এর ব্যবহার হয়ে থাকে। কৃষকরা কম খরচে বেশি উৎপাদন করতে পারছেন। আর উৎপাদিত সয়াবিন বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন। আমরা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।