সোহেল রহমান : অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শেষপর্যন্ত সারের দাম বাড়াতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
সারের দাম বাড়ার বিষয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
প্রসঙ্গত: কৃষক ও ডিলার পর্যায়ে চার ক্যাটাগরির (ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি ও এমওপি) রাসায়নিক সারের দাম প্রতি কেজি ৫ টাকা বাড়িয়ে সোমবার আদেশ জারি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং ওইদিন থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে। গত ৩ এপ্রিল কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, এ বছর সারের দাম বাড়ানো হবে না। কিন্তু এর সাত দিনের মধ্যেই সারের দাম বাড়ানো হলো।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি চাইনি কোনোভাবেই সারের দাম বাড়ুক। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে ছিল যে দাম বাড়াতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীও বলেছিল সারের দাম না বাড়াতে, কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত বাড়াতেই হলো। তবে বিশ্ববাজারে দাম কমলে দেশের বাজারেও সারের দাম কমানো হবে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার সারের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর কারণে কৃষকের ওপর চাপ পড়বে, তবে উৎপাদন কমবে না। আমরা চাইবো বীজ বা অন্যভাবে কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, তবে দাম যা বাড়ানো হয়েছে, এটাও বৈশ্বিক সারের যে দাম বেড়েছে, সে তুলনায় বাড়েনি। এখনো সরকারকে সারে বিপুল পরিমাণ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। তবে, বৈশ্বিক দাম কমলে সারের দাম সমন্বয় করা হবে।
বোরো ধানের আগ পর্যন্ত সারের চাহিদা বেশি থাকে এরপর সারের চাহিদাও কমে আসবে। তাই এ দামে খুব সমস্যা হবে না বলে দাবি করেন তিনি।