অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ
অর্থনীতি ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে স্টুডেন্ট ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। দেশটির বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এসব শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জারি করছে নিষেধাজ্ঞা। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে আরও বৃহত্তর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
কোভিড-১৯ পরবর্তী অস্ট্রেলিয়ায় প্রতারণামূলক স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন বৃদ্ধি পেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সতর্কতার সঙ্গে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এটি করতে গিয়েই বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ভিসা জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পরে। এদের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে।
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম দ্য এজ এবং দ্য সিডবিশ্বমানের কারখানা হবে আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোনে
আমিনুল ইসলাম
বিশ^মানের কারখানা হবে আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোনে । এর ফলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের কাছে মুন্সিগঞ্জে কাজ করা আর ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ডে কাজ করার মধ্যে কোনো তফাৎ থাকবে না বলে জানিয়েছেন আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম মঈনুদ্দিন মোনেম।
এ এস এম মঈনুদ্দিন মোনেম বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সুবিধাজনক স্থান নির্বাচন করা। আমরা সেই কাজটা করেছি। আমাদের ইকোনমিক জোনটা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে এবং মেঘনা-গোমতী নদীর মোহনার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত। বিনিয়োগকারীরা নদীপথ ব্যবহার করতে পারবে আবার মহাসড়কের মাধ্যমে সরাসরি বিমানবন্দর বা সমুদ্রবন্দরেও যেতে পারবেন। তাই আমি মনে করি আমাদের জোনের কানেকটিভিটি ভালো হওয়ায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে যোগাযোগ স্থাপন সহজ। আমরা এখানে ঢাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে আছি। আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্থানগত সুবিধা।
তিনি বলেন, আমাদের আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোনে দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে জাপানের হোন্ডা কোম্পানি চার বছর ধরে ভালো উৎপাদন করছে। এক্ষেত্রে তারা সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুৎ, জমিসহ নানা সুবিধা পাচ্ছে। ফলে তারা ভারত ও থাইল্যান্ডে অবস্থিত তাদের কারখানার সমকক্ষ করে এখানেও হোন্ডা তৈরি করতে পারছে। এটি বিবেচনায় নিলে তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি সঠিক গন্তব্য। এখন পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারি তাহলে আগামী দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে আরো অন্তত পাঁচটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ আনতে পারব বলে আমরা বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, আজ থেকে প্রায় ছয় বছর আগে আমার বাবা যখন জীবিত ছিলেন, উনি ইকোনমিক জোনে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থানের কথা বলেন। এটা আমাদের স্বপ্ন, যে স্বপ্নের সঙ্গে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কোয়ালিটি জব ক্রিয়েশন, মানবসম্পদের উন্নয়ন করা আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ভালো ভালো কারখানা তৈরি করা। আমাদের স্বপ্ন হচ্ছে এই জোনের মাধ্যমে আমরা বিশ্বমানের কারখানা তৈরি করব। এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের ছেলে- মেয়েরা যারা সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ায় যে মানের কারখানায় কাজ করে, তারা একই মানের কাজ এখানে করতে পারবে। তখন মুন্সিগঞ্জে কাজ করা আর ব্যাংকক, ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ডে কাজ করার মাঝে কোনো তফাত থাকবে না। আব্দুল মোনেম ইকোনমিক জোন ওই স্বপ্নটা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের বেশিতে উন্নত করতে হলে ১৮ থেকে ২০ বিলিয়ন ডালারের অতিরিক্ত বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে। এই বাড়তি বিনিয়োগ আসতে পারে ১০০টি ইকোনমিক জোনে যে সকল বিদেশি কোম্পানি তাদের কলকারখানা প্রতিষ্ঠা করবে তার মাধ্যমে। এজন্য ইকোনমিক জোনগুলো দ্রæত বাস্তবায়ন করতে হবে। একইসঙ্গে যেসব সুবিধা প্রদান করলে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ ত্বরান্বিত হবে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।