রাশিদ রিয়াজ : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নিজেও বিনিয়োগ করেছেন ইলন মাস্ক। কিন্তু তার শঙ্কা পাছে মানব সভ্যতা ধ্বংস করে না ফেলে এ প্রযুক্তি মাধ্যম। ইলন নিজেই চ্যাটজিপিটি’র মতো নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আসছেন। সিএনএন
ফক্স নিউজের উপস্থাপক টাকার কার্লসনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইলন মাস্ক বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। যদি কোনো গাড়ি বা বিমান কোম্পানি যদি ঠিকভাবে তাদের পণ্য নির্মাণ না করে তাহলে যে বিপদ হতে পারে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতা আছে গোটা মানব সভ্যতাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়ার।
তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে মাস্কের এমন সাবধান বানী এই প্রথম নয়। তিনি বরাবরই এ নিয়ে বিশ্ববাসীকে হুঁশিয়ার করে আসছেন। ৬ মাসের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন বন্ধ রাখতে খোলা চিঠিও দিয়েছেন তিনি। যদিও টেক জায়ান্ট গুগল ও মাইক্রোসফট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা দিন দিন আরও বৃদ্ধি করছে। চ্যাটজিপিটিকে টেক্কা দিতে বাজারে চ্যাটবট বার্ড আনছে গুগল। চীনও নিজেদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে। তবে মাস্কের ভাষায়, এই প্রতিযোগিতা ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে’।
মার্কিন সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যে কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে তা ইলন মাস্ক সমর্থন করেন। মাস্ক একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠার উপরে জোর দেন। মাস্ক নিজেই যদিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করছেন। তার গাড়ি কোম্পানি টেসলা রাস্তায় চলতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপরে ব্যাপক মাত্রায় নির্ভর করে। এছাড়া চ্যাটজিপিটি’র মূল কোম্পানি ওপেনএআই প্রতিষ্ঠায় বিনিয়োগ করেছিলেন মাস্ক নিজেও।
এদিকে টাকার কার্লসনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নিজের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি ‘ট্রæথজিপিটি’ তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন মাস্ক। তিনি বলেন, আমরা নিজেরাই নতুন কিছু তৈরির চেষ্টা করছি, আমি যার নাম দিয়েছি ট্রæথজিপিটি। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবথেকে বেশি সত্য তুলে ধরবে বলেও দাবি করেন তিনি। মাস্ক বলেন, আশা করছি ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খারাপের থেকে ভালই বেশি হবে।