ব্লুমবার্গ প্রতিবেদন অর্থনৈতিক শক্তিতে পশ্চিমকে ছাড়িয়ে যাবে ব্রিকস
রাশিদ রিয়াজ : সাতটি প্রধান অর্থনীতির গ্রæপের তুলনায় উন্নয়নশীল দেশগুলির বøকের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির একটি বড় অংশ থাকবে। বিআরআইসিএস বা ব্রিকস গ্রæপ হিসেবে পরিচিত অর্থনৈতিক জোটে রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এবং ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে তাদের অংশ প্রায় ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বøæমবার্গ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে। আরটি সা¤প্রতিক আইএমএফ ডেটার উপর ভিত্তি করে আউটলেটের গণনা অনুসারে, এই বছর, জি সেভেন গ্রæপের ২৯.৯ শতাংশের তুলনায় ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি বিশ্বের প্রবৃদ্ধির ৩২.১ শতাংশ অবদান রাখবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং জাপানের সমন্বয়ে গঠিত সাতটি দেশ গ্রæপ সেভেন হিসেবে পরিচিত যা বিশে^র ধনী দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে উন্নত অর্থনৈতিক বøক হিসাবে বিবেচিত হয়।
বøুমবার্গের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ২০২০ সালে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ব্রিকসভুক্ত দেশ এবং জি সেভেন এর অবদান সমান ছিল এবং সেই মুহুর্ত থেকে, পশ্চিমা দেশগুলির কর্মক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। ২০২৮ সাল নাগাদ, বিশ্ব অর্থনীতিতে জি সেভেন-এর অবদান কমে ২৭.৮ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
বøæমবার্গের গণনা দেখায় যে চীন আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষ অবদানকারী দেশ হবে, বিশ^ অর্থনীতিতে চীনের শেয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিগুণ হবে। আউটলেট লিখেছে, ২০২৮ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী জিডিপি স¤প্রসারণে চীনের অংশ মোট বিশ্ব প্রবৃদ্ধির ২২.৬ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক জিডিপিতে ভারত ১২.৯ শতাংশ অবদান রাখবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
মোট, ৭৫ শতাংশ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ২০টি দেশের ওপর নির্ভর করে এবং অর্ধেকের বেশি শীর্ষ চারটিতে তা কেন্দ্রীভ‚ত থাকবে। এ চারটি দেশ হচ্ছে: চীন, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইন্দোনেশিয়া। এরপর জার্মানি, জাপান, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সকে শীর্ষ ১০ অবদানকারীদের মধ্যে দেখা যাবে। যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক একটি সামষ্টিক অর্থনীতি গবেষণা সংস্থার সা¤প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ওজনের ক্ষেত্রে দুটি গ্রæপের মধ্যে ব্যবধান বাড়তে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা উল্লেখ করেছেন যে চীন এবং ভারত শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনুভব করছে এবং আরও দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী।
এই বছরের শুরুর দিকে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন যে আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মিশর, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, সুদান, সিরিয়া সহ ‘এক ডজনেরও বেশি’ দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এমন আগ্রহ দেখিয়েছে তুর্কিয়ে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভেনিজুয়েলা। সৌদি আরব, মিশর এবং বাংলাদেশ ব্রিকসের অর্থায়নকারী সংস্থা নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে ইক্যুইটি অর্জন করেছে।
গত বছর, ব্রিকস দেশগুলি পারস্পরিক লেনদেনে মার্কিন ডলার এবং ইউরো থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্য তাদের নিজস্ব মুদ্রা তৈরির প্রস্তাব করেছিল।