ঈদের আগে ২১ দিনে রেমিটেন্স এসেছে ১২৭ কোটি ডলার
মো. আখতারুজ্জামান : বছরের অন্য সময়ের তুলুনায় ঈদে প্রবাসী আয় বেশি হয়ে থাকে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে। এর ধারাবাহিকতায় চলতি এপ্রিল মাসের ২১ দিনে অর্থাৎ ঈদের আগের দিন পর্যন্ত দেশে রেমিটেন্স এসেছে ১২৭ কোটি ১৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার।
সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি মাসের ২১ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৫ কোটি ৭৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।
গত মাসে দেশে রেমিটেন্স এসেছে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, যা সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছর আগস্টে দেশে সর্বোচ্চ ২০৩ কোটি মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। গত ফেব্রæয়ারিতে রেমিটেন্স এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিটেন্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিটেন্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
রেমিটেন্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিটেন্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
রেমিটেন্স বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিটেন্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, রেমিটেন্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া, রেমিটেন্স বিতরণ প্রক্রিয়া স¤প্রসারণ ও সহজ করার পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ন অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা এবং রেমিটেন্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে।